—প্রতীকী ছবি।
বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছিল দেড় বছরের শিশুটি। আচমকাই পাঁচতলার ছাদ থেকে নীচে পড়ে যায় সে। হাসপাতালে নিলে দেখা যায়, খুলি ভেঙেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জ্ঞান ফিরতেই খিঁচুনি। দৃষ্টিশক্তিও চলে গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি হলেও শিশুটির বয়সের কথা ভেবে অস্ত্রোপচারের পথে না হেঁটে শুধু ওষুধ প্রয়োগ করে অপেক্ষা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। মাস তিনেক পরে এখন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে দৌড়চ্ছে সে।
গত ৭ জুন রাতে তপসিয়ার বাসিন্দা, এক বছর ন’মাসের ফৈয়াজ বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি নিমন্ত্রণে গিয়েছিল। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। উদ্ধার করার সময়ে শিশুটির জ্ঞান ছিল না। মুখ গিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। মাথা ফেটে ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তাকে আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে আনা হয়। সেখানকার শিশুরোগ চিকিৎসক সুমিতা সাহা জানাচ্ছেন, এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, খুলি ভাঙার পাশাপাশি মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ভেন্টিলেশনে রেখে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তাতে ধীরে ধীরে শিশুটি সাড়া দিতে থাকে।’’
তিন সপ্তাহ পরে খেতে শুরু করায় ও অক্সিজেনের প্রয়োজন না হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ফৈয়াজকে। তখনও বসতে ও হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল। প্রথম চেক-আপে দেখা যায়, বসতে পারলেও দাঁড়াতে সমস্যা হচ্ছে। ফের চলে ওষুধ ও ফিজ়িয়োথেরাপি। বৃহস্পতিবার চেপ-আপে এসে শিশুটি দৌড়ে বেড়ায় বলেই জানান সুমিতা। স্নায়ু শল্য চিকিৎসক জিআর বিজয় কুমার, স্নায়ু চিকিৎসক অমিত হালদারদের কথায়, ‘‘প্রাণে বাঁচানোর পাশাপাশি দৃষ্টি ফিরিয়ে আনাও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy