উত্তপ্ত আরজি কর হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের শরিক হতে মেয়েদের সঙ্গে রূপান্তরকামী তথা ভিন্ন যৌনতার মানুষদেরও ডাক দিচ্ছে কলকাতা। কিন্তু প্রতিবাদের আসর থেকে ফেরার পথেই, স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় তিন জন রূপান্তরকামী নারী যৌন হেনস্থার শিকার হলেন বলে অভিযোগ উঠল।
রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে ঘটেছে ঘটনাটি। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশনেই তিন জন অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ও রেল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার দীর্ঘ
টানাপড়েন শেষে রেল রক্ষী বাহিনীর (আরপিএফ) রামকিষেণ রাম নামে এক সাব-ইনস্পেক্টর লিখিত ভাবে ওই মেয়েদের কদর্য ভাবে স্পর্শের অভিযোগ স্বীকার করে নেয়। একই অভিযোগ উঠেছে কয়েক জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও। মেট্রো কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভবানীপুর থানার পুলিশও বিষয়টির দ্রুত তদন্ত করা হবে বলে জানাচ্ছে।
শুক্রবার অবশ্য এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি ভবানীপুর থানার কোনও আধিকারিক বা উপ-নগরপাল (দক্ষিণ) প্রিয়ব্রত রায়ের কাছ থেকে। তবে আজ, শনিবার বিকেলে আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে ট্রান্স-কন্যাদের হেনস্থার বিষয়টির উঠে আসবে বলে প্রতিবাদীদের অনেকে জানিয়েছেন। দেশের নতুন ট্রান্স সুরক্ষা আইনে কোনও রূপান্তরকামী নারীকে
যৌন হেনস্থা করে পার পাওয়াও এখন খুব সোজা নয়। আইনের ঠিক প্রয়োগ এবং যথাযথ তদন্ত হলে অভিযুক্তের তিন বছরের জেল হতে পারে।
খুন ও ধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদে উত্তাল শহরে ট্রান্স-কন্যাদের এই হেনস্থার বিষয়টি প্রতিবাদীদের অনেককেই তীব্র ভাবে বিঁধছে। অভিনেত্রী গুলশনারা খাতুন বলেন, “অবশ্যই আমি রূপান্তরকামী বন্ধুদের পাশে দাঁড়াতেও হাঁটতে চাই।” সমাজকর্মী তথা রূপান্তরকামী নারী দেবাংশী বিশ্বাস বলেন, “পুলিশ তো আকছার রূপান্তরকামীদের বিষয়ে সচেতনতা শিবির করায়। তা-ও এমন আচরণ, কদর্য স্পর্শের সাহস হয় কী করে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy