পরিদর্শন: মদন দত্ত লেনের উল্টো দিকে একটি সোনার দোকান ঘুরে দেখছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা মেট্রো ও পুরসভার প্রতিনিধিরা। বুধবার, বৌবাজারে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
আসন্ন ধনতেরাস উৎসবে সোনার দোকান খুলতে পারা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন বৌবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ-বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একাংশ। বুধবার ওই সমস্যা মেটাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সোনার দোকানগুলি ঘুরে দেখেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ হিমাদ্রি গুহ। প্রাথমিক ভাবে সেখানকার ১৮টি দোকানের মধ্যে ১৭টি খোলার বিষয়ে সম্মতি মিলেছে বলে খবর।
আপাতত বৌবাজারের ওই এলাকায় যাবতীয় খননকাজ বন্ধ রয়েছে। মাটির নীচে কম্পন তৈরি হতে পারে, এমন কোনও কাজ হচ্ছে না বলেই মেট্রো সূত্রের খবর। ফলে, আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ওই দোকানগুলি কিছু শর্তসাপেক্ষে খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। একাধিক দোকানের ভিতরে ও বাইরে বিধি মেনে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। কিছু দোকানে ফাটল ধরলেও সেগুলিকে এখনই বিপজ্জনক বলছেন না বিশেষজ্ঞেরা। যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা কিছুটা কমেছে। এ দিন ‘স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটি’র তরফে বাবলু দে জানান, সাময়িক ভাবে তাঁদের সমস্যা কিছুটা কমেছে। কেএমআরসিএল (কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড)-এর জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) অজয়কুমার নন্দী জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এ দিন যৌথ কমিটি দোকান ও লাগোয়া একাধিক বাড়ি ঘুরে দেখে।
মেট্রো সূত্রের খবর, মোট ১৮টি দোকানের মধ্যে একটি দোকানের অবস্থা খুলে রাখার পক্ষে অনুকূল বলে মনে করেননি যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ। ওই ব্যবসায়ীর সমস্যার সুরাহা করতে আলোচনার ভিত্তিতে বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে বলে খবর। যাতে তিনি কোথাও দোকান ভাড়া নিয়ে অন্তত মাসখানেক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানটি মদন দত্ত লেনের কাছাকাছি বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy