Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Teenage Pregnancy

১৩ বছরের কিশোরী সন্তানের জন্ম দিল কলকাতার হাসপাতালে, সদ্যোজাত ‘নিকু’তে

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা ও মা দিল্লিতে থাকেন। মা সেখানে পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা দিল্লির একটি গ্রিলের দোকানে কাজ করেন। দিল্লিতে বাবা-মায়ের কাছেই থাকত সে।

মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে মা হয়েছে ওই কিশোরী।

মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে মা হয়েছে ওই কিশোরী। ছবি: প্রতীকী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২ ২১:৪৭
Share: Save:

সন্তানের জন্ম দিল ১৩ বছরের এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার মধ্য কলকাতার একটি হাসপাতালে মা হয়েছে ওই কিশোরী। নাবালিকার মা হওয়ার বিষয়টি থানায় জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটিকে সদ্যোজাতদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। তবে নাবালিকা সুস্থ রয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা ও মা দিল্লিতে থাকেন। মা সেখানে পরিচারিকার কাজ করেন। বাবা দিল্লির একটি গ্রিলের দোকানে কাজ করেন। এই নভেম্বরে ১৩ বছরে পা দিয়েছে ওই কিশোরী। দিল্লিতে বাবা-মায়ের কাছেই থাকত সে। পুজোর সময় কলকাতায় আসে। শহরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিশোরী। পেটে ব্যথা শুরু হয়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। জানা যায়, সে অন্তঃসত্ত্বা।

গত বৃহস্পতিবার প্রসববেদনা শুরু হয় ওই কিশোরীর। মধ্য কলকাতার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় সে। সাধারণ সদ্যোজাতের তুলনায় শিশুটির ওজন বেশ কম। তাকে সদ্যোজাতদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ‘নিকু’তে রাখা হয়েছে। তবে নাবালিকা মা সুস্থ রয়েছে।

ওই হাসপাতালের সুপার জয়ব্রতী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার নাবালিকাকে তাঁর দিদিমা এবং মাসি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার বিষয়ে খোঁজখবর নিই আমরা। জিজ্ঞেস করি, কী ভাবে হল? যদিও তখন কিশোরীর প্রাণ বাঁচানোকেই গুরুত্ব দিই। এর পর একা নাবালিকা মায়ের বিষয়ে থানায় জানাই।’’

ওই নাবালিকার দিদা বলেন, ‘‘ও দিল্লিতে থাকত। প্রথমে যখন কলকাতায় আসে, কিছু বুঝতে পারিনি। পরে অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। চিকিৎসক জানান ও অন্তঃসত্ত্বা। তখন ওর কাছে জানতে চাই। ও জানায়, কেউ কিছু করেছে। পরিচিত এক জন আসতেন। ভয় দেখিয়ে জোর করেছে। আমরা যখন জানতে পারি, লজ্জা, ভয়ে আর অভিযোগ করতে পারিনি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

baby birth Sexual abuse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE