ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও উত্তাপ নেই গেরুয়া শিবিরে। ফাইল চিত্র
কলকাতায় পুরভোট ১৯ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে কমিশন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল শুক্রবারই ঘোষণা করতে পারে প্রার্থিতালিকা। কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এখনও অপ্রস্তুত। প্রার্থিতালিকা অনেক দূর বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপি নেতারা চাইছেন কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভেস্তে যাক পুরভোট। সেই কারণেই আগামী সোমবার আদালত কী বলে সে দিকে তাকিয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আপাতত প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করছে না গেরুয়া শিবির। কবে প্রকাশ হতে পারে তা নিয়ে এখন মুখ খুলতেও চাইছেন না কেউ।
রাজ্যের সমস্ত পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও শুধুমাত্র কলকাতা এবং হাওড়ায় পুরভোট করানোর কথা কেন ভাবছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? এই প্রশ্ন তুলে আগেই আদালতে গিয়েছে বিজেপি। দাবি তুলেছে সর্বত্র একসঙ্গে ভোট করানো হোক। বুধবার সেই মামলার শুনানি শেষে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি আদালত। জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। পুরভোটের ভবিষ্যৎ আদালতে বিচারাধীন থাকলেও এই ঘোষণাকে একতরফা বলে মনে করছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘আদালতের অবস্থান আমাদের কাছে দুর্বোধ্য লাগছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আদালত কী বলে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করব।’’
আদালতে শুনানির আগে কি বিজেপি প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করবে না? এর স্পষ্ট উত্তর এড়িয়ে শমীক বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়েই প্রকাশিত হবে প্রার্থিতালিকা। আর এর মধ্যে আইনি বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন কিছু সিদ্ধান্ত হলে তা সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে।’’ সোমবার আদালতে পুরভোট মামলার পরবর্তী শুনানি। আর বুধবার কলকাতা পুরভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কমিশনের ঘোষণা যদি আদালতে খারিজ না হয় তবে এক দিনের মধ্যে কি বিজেপি সবটা করে উঠতে পারবে? শমীক বলেন, ‘‘বিজেপি কোর্টেও থাকবে, ভোটেও থাকবে। আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে এড়িয়ে যাব না। অংশ নেব। তবে এখনও আমাদের দাবি রাজ্যের ১১২টি পুরসভা এলাকায় একসঙ্গে নির্বাচন হোক। তা দফায় দফায় হতে পারে। কিন্তু একসঙ্গে ঘোষণা হোক।’’ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে ওই মামলার কি আর কোনও গুরুত্ব রয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে শমীক বলেন, ‘‘যত ক্ষণ মামলা রয়েছে, তত ক্ষণ আশা রয়েছে। আমরা নিজেদের অবস্থান থেকে সরছি না।’’
বিজেপি এমন সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছে তাঁর খোঁজ নিতে গিয়ে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেনি দল। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে হাতে গোণা কয়েকটি বাদ দিলে বাকি জায়গায় কারা প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনাও শুরু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সময় কেনার জন্যই এই পথ নিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, আদালতের শুনানির জন্য অপেক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থিতালিকা তৈরি করে ফেলা হবে। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন শেষ বেলায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy