কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানিও শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও দু’দেশের মধ্যে চালানো গেল না মৈত্রী এক্সপ্রেস। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার (২৯ জুলাই)-ও কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধই থাকবে। কবে আবার এই ট্রেন চালু করা হবে তার কোনও ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি।
ভারতীয় রেল জানিয়েছে, সোমবার কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। সেই ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যে সব যাত্রীরা ওই ট্রেনে ভ্রমণের জন্য টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন। তবে টিকিটের দাম ফেরতের জন্য কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। কিন্তু কোনও যাত্রী টিকিট হারিয়ে ফেললে টাকা ফেরত পাবেন না। বিদেশি যাত্রীদের প্যাসেঞ্জার রিজ়ার্ভেশন সিস্টেম (পিআরএস)-এর কাজের সময় টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয় বাংলাদেশ। গত ১৯ জুলাই থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস পুরোপুরি বন্ধ। ঢাকার মধ্যেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সে দেশের রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে যাত্রিবাহী ট্রেনগুলি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে এখনই ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি বাংলাদেশে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের আঁচ কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসায় শনিবার ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ৯ ঘণ্টা কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। শুক্রবার সরকারি হিসাবে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনে মোট ২০৯ জন নিহত হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy