ধর্মঘটের সমর্থনে চলছে ব্যাপক প্রচার। নিজস্ব চিত্র।
সাধারণ ধর্মঘট হবে সর্বাত্মক। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে ধর্মঘট সফল করা হবে। থামানো হবে রেলের চাকা। এমনটাই জানালেন সিটু-র হুগলি জেলা সম্পাদক অসিত মুখোপাধ্যায়।
অন্যান্য জেলার মতো হুগলি জেলা জুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। হুগলি শিল্পাঞ্চল, জুটমিল-সহ কলকারখানার শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে শামিল হবেন বলে জানানো হয়েছে সিটু-র তরফে। বুধবার অসিত বলেন, ‘‘কৃষি বিল বাতিল, শ্রম আইন বাতিল, আয়করের আওতার বাইরে এমন দেশবাসীকে সাড়ে সাত হাজার টাকা ও ১০ কেজি করে চাল দেওয়া-সহ মোট সাত দফা দাবিতে সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটে শামিল হবে শ্রমিক, কৃষক, সাধারণ মানুষ।’’ তাঁর মতে, বিজেপি শাসনে সাধারণ মানুষের কোনও কিছুরই নিরাপত্তা নেই। তার প্রতিবাদে ধর্মঘটই একমাত্র পথ। সিটু-র দাবি, বাস, অটো থেকে গণপরিবহণ সব বন্ধ থাকবে। সব রেল স্টেশনে ট্রেন থামানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কলকারখানার গেটে হবে পিকেটিং।
অন্য দিকে, ধর্মঘটের বিরোধিতা করলেও পথে নামবে না বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি-র শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু এ দিন বলেন, ‘‘এত দিন ক্ষমতায় থেকে রাজ্যের শ্রমিক কৃষকের কথা মাথায় ছিল না বামেদের। শুধু কারখানা বন্ধ করতে আন্দোলন করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ এমনিতেই নানা সমস্যায় রয়েছে তার উপর ধর্মঘট, এটা সাধারন মানুষ ভাল ভাবে নেবে না।’’
আরও পড়ুন: ‘জোর করে ধর্মঘট করলে পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না’
তৃণমূল যদিও সরাসরি এই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে হুগলি জেলার তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, এই ধর্মঘট সর্বনাশা। তাঁর কথায়, ‘‘বাম বা কংগ্রেস ধর্মঘট ডেকেছে যে সব ইস্যুগুলোকে নিয়ে তা নির্বাচন এসেছে বলে তাদের মনে পড়েছে। এই সব দাবিতে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। এখন নির্বাচন আসছে তাই রাজনীতি করতে নেমেছে বাম কং। কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে লোকসভার ভিতরে লোকসভার বাইরে রাস্তায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমাদের নেত্রী সব সময় কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy