বন্ধ: উলুবেড়িয়ার লতিবপুর হাইস্কুলের সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ছবি: সুব্রত জানা
এলাকার স্কুলকে সরকারি কোয়রান্টিন (নিভৃতবাস) কেন্দ্র করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় এবং সংক্রমণের ভয়ে উলুবেড়িয়ার লতিবপুর হাইস্কুলের সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে ঘিরে রেখেছেন গ্রামবাসী।
ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের অনেককেই সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রে (কোয়রান্টিন সেন্টার) থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্থান সঙ্কুলানের আশঙ্কায় কিছু স্কুলেও ওই কেন্দ্র তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
বর্তমানে উলুবেড়িয়ার দু’টি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতাল এবং ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কোয়রান্টিন কেন্দ্র রয়েছে। উলুবেড়িয়ায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সেখানে রাখাও হচ্ছে। কিন্তু আগামী দিনে আরও যাঁরা ফিরবেন, তাঁদের জায়গা দেওয়া নিয়েই প্রশাসন চিন্তিত। কারণ, সকলকেই থাকতে হবে ১৪ দিন।
হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন। বর্তমান ব্যবস্থায় সব শ্রমিককে রাখা সম্ভব হবে না। ওই চারটি কেন্দ্র ভরে গেলে তখন স্কুলের দরকার হবে। সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।’’
তবে, কোন কোন স্কুলে কোয়ারান্টিন কেন্দ্র হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ সেনও জানিয়েছেন, স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশ পাননি।
কিন্তু দিন কয়েক আগে কয়েকজন সাফাইকর্মী স্কুলে এবং আশপাশে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোয় গ্রামবাসীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পরে স্কুলের সামনের রাস্তা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেন। এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘জলবহুল এলাকায় এই স্কুল। এখানে নিভৃতবাস কেন্দ্র করলে সহজেই এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়বে। তাই গ্রামের এই স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্র করতে দেওয়া হবে না।’’
যদিও উলুবেড়িয়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং পাউড়ার ছড়ানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy