Advertisement
E-Paper
BB_2025_Lead Zero Banner

স্কুলে নিভৃতবাস শিবির, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে।

নেই পরিযায়ী শ্রমিক। তালাবন্ধ রানাগড় স্কুল। —নিজস্ব িচত্র

নেই পরিযায়ী শ্রমিক। তালাবন্ধ রানাগড় স্কুল। —নিজস্ব িচত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২০ ০২:৫১
Share
Save

স্কুলে নিভৃতবাসে শিবির নিয়ে হুগলিতে জটিলতা অব্যাহত। কোথাও সেখানে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকাবাসী। কোথাও পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগে প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়াই স্কুল থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছেন শ্রমিক।

প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু পরিযায়ী শ্রমিককে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই শ্রমিকেরা মাঝেমধ্যেই বাইরে ঘুরছেন। রাস্তায় থুতু ফেলছেন। পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারি নেই। এর প্রতিবাদে বিকেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান। দাবি ওঠে, সেখানে নিভৃতবাস শিবির করা চলবে না। পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তপন গোস্বামী বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছালাল যাদবকে বিষয়টি জানানোর হলেও ব্যবস্থা নেননি। ঘিঞ্জি এলাকায় কোয়রান্টিন শিবির হওয়ায় আতঙ্কে আছি।’’ প্রধান আচ্ছালালবাবু বলেন, ‘‘কারও যাতে অসুবিধা না হয়, নিশ্চয়ই দেখব।’’

এ দিকে, পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ তুলে পান্ডুয়ার রানাগড় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মঙ্গল এবং বুধবার বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন ন’জন পরিযায়ী শ্রমিক। গুজরাত থেকে বাসে তাঁরা শনিবার গ্রামে ফেরেন। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে বিছানার ভাল ব্যবস্থা ছিল না। পর্যাপ্ত পানীয় জল মেলেনি। মশার উপদ্রবে ঘুমনোর জো ছিল না। শনি ও রবিবার তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে যান। কিন্তু ভিড়ের কারণে তা করা যায়নি।

শনিবার কর্ণাটক এবং রাজস্থান থেকে ফিরে আসা জনা পনেরো শ্রমিক রয়েছেন পান্ডুয়ার শশীভূষণ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে। তাঁরাও সেখানকার পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বাপ্পা কর্মকার নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত জল, আলো, বাতাস নেই। মশার উপদ্রব। বাড়ি থেকে খাবার আসছে বলে কিছুটা বাঁচোয়া। এমন চললে আমরাও বাড়ি চলে যাব।’’

বিডিও (পান্ডুয়া) স্বাতী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্য রাজ্য থেকে এলে সাত দিন কোয়রান্টিনে থাকার কথা। সেখানে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধানদের নজরদারি করার কথা। পুলিশও আছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কেউ বাড়ি চলে গিয়েছেন, এমন খবর নেই। এমন ঘটে থাকলে তাঁদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

আরামবাগ মহকুমায় কয়েক দিন ধরে উপসর্গহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। হাতে কালি মাখিয়ে গৃহ নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে। খানাকুলের বালিপুর, ছত্রশাল, মাড়োখানা, নতিবপুরের পরিযায়ী শ্রমিকরা এই নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, পরীক্ষা না হওয়ায় ১৪ দিন নিভৃতবাসে কাটানোর পরেও গ্রামবাসীরা বাইরে বেরনোয় আপত্তি করছেন। ডাক্তারি শংসাপত্র দেখতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা বিপাকে পড়ছেন। আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

Coronavirus in West Bengal Quarantine Center Chinsurah

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।