প্রতীকী ছবি।
প্রায় দু’বছর ধরে জলের পাইপলাইন পাতার কাজ বন্ধ রয়েছে উলুবেড়িয়ায়। লোহার পাইপ সরবরাহকারী বহুজাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে গোলমালে আটকে গিয়েছিল সেই কাজ। সেই সমস্যা মিটল। আর লোহার পাইপ নয়, প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করে থমকে থাকা কাজ শুরু করতে চলেছে পুরসভা।
পুরসভার দাবি, লোহার পাইপের চেয়ে প্লাস্টিকের পাইপের আয়ু বেশি। খরচও অনেক কম। উন্নত মানের ওই পাইপ তৈরি হয় পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থাগুলিতে। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ আকবর শেখ বলেন, ‘‘সমস্যার কথা শুনে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরই প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়। আমরা রাজি হই। কেএমডিএ সবুজ সঙ্কেত দিলেই টেন্ডার করা হবে।’’ উলুবেড়িয়া পুর এলাকায় জলের পাইপলাইন পাতার কাজটি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে কেএমডিএ-ই তত্ত্বাবধান করছে। কেএমডিএ জানিয়েছে, রাজ্যের সব পুরসভাকেই ওই প্লাস্টিক পাইপ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গঙ্গার জল তুলে শোধন করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহের প্রকল্পটি ২০১০ সালে হাতে নেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও অনেকটা হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য বরাদ্দ হওয়া ৭৫ কোটি টাকার মধ্যে ৪২ কোটি টাকায় পাইপলাইন পাতা এবং জলাধার তৈরির কাজ হয়। কিন্তু দু’বছর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের পাইপলাইন পাতার বাকি কাজ করতে গিয়েই সমস্যা হয়। অথচ, ওই কাজটি হয়ে গেলে পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডের সব জায়গায় পাইপলাইন পাতা সম্পূর্ণ হয়ে যেত।
কী ছিল সমস্যা?
পুরসভা জানিয়েছে, আগে দেশের চারটি বহুজাতিক সংস্থা পুরসভাগুলিতে লোহার পাইপ সরবরাহ করত। বছর দুই আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর নিয়মে বদল ঘটিয়ে জানায়, অন্তত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, এমন যে কোনও সংস্থা টেন্ডারে অংশ নিতে পারবে। এতে বড় সংস্থাগুলি ক্ষুব্ধ হয়। সংশোধিত নিয়মে তিনবার টেন্ডার করা হলেও কেউ অংশগ্রহণ করেনি। ছোট সংস্থাগুলিকেও টেন্ডারে অংশ নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ।
এই সমস্যার কথা উলুবেড়িয়া পুরসভার পক্ষ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে জানানো হয়েছিল। এ সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার পরেই নড়ে বসে ওই দফতর। সম্প্রতি কেএমডিএ-র আধিকারিকরা উলুবেড়িয়ায় আসেন। সঙ্গে আসেন হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল এবং অন্য একটি পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থার পদস্থ আধিকারিকেরা। তাঁরা পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দেন, পেট্রোকেমিক্যালজাত প্লাস্টিকের পাইপের ব্যবহার করা যেতে পারে। ওই বৈঠকের পরেই পুরসভা সম্মতি জানিয়ে কেএমডিএ-কে চিঠি দেয়।
আকবরের দাবি, ‘‘কেএমডিএ-এর সঙ্গে বৈঠকের পরে আমরা দেশের কয়েকটি পুরসভার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সেখানেও পেট্রোকেমিক্যালজাত প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার হচ্ছে। কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।’’ নতুন পাইপ ব্যবহারের ফলে উদ্বৃত্ত টাকা জল সরবরাহে আরও উন্নত পরিকাঠামো তৈরির কাজে লাগানো যাবে বলে পুরর্তাদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy