প্রতীকী ছবি।
দু’জনেই ছিলেন বডিবিল্ডার। শুরুর গুরু-শিষ্যার সম্পর্ক বদলে যায় প্রেমে। তারপর পরিণয়, সংসার। কিন্তু তা সুখের হল না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। শনিবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে মহিলার ঝুলন্ত দেহ মিলল। তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী।
মৃতার নাম মঙ্গলা সেন (৩০)। স্বামী অম্বরীশ এবং আট ও ছ’বছরের দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটির একটি স্টিল কারখানার আবাসনে থাকতেন। অম্বরীশ ওই কারখানার একটি বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার। শনিবার রাত ৭টা নাগাদ ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মঙ্গলাকে ঝুলতে দেখা যায়। উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ, মঙ্গলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন অম্বরীশ। থানায় অবশ্য তাঁরা অম্বরীশের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের অনুমান, ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনার সময় দম্পতির দুই মেয়ে ঘরেই ছিল। পুলিশ তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ঠিক কী ভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই পরিষ্কার হবে। রিপোর্টে অন্য কিছু থাকলে সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধারা যোগ করে হবে।’’ ধৃতকে রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। আগামী ২৮ তারিখে মামলার কেস ডায়েরি পুলিশকে আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অম্বরীশ আদতে হাওড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলার বাপের বাড়ি শ্রীরামপুরের নওগাঁয়। অম্বরীশের হাত ধরেই বডিবিল্ডিং শুরু করেন মঙ্গলা। দু’জনেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। মঙ্গলার দিদি জয়ত্রী পাঠকের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অম্বরীশ বোনের উপরে অত্যাচার শুরু করেন।
অম্বরীশের বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক রয়েছে। মঙ্গলা তা সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু স্ত্রীর আপত্তি কানে তুলতেন না অম্বরীশ। মঙ্গলার বাবা বিশ্বনাথ দত্ত বলেন, ‘‘আমার বাড়িতে এসেও জামাই মেয়েকে মারধর করেছে। আমাদের সন্দেহ, মেয়েকে গলা টিপে মারা হয়েছে।’’
অভিযোগ মানেননি অম্বরীশ। তাঁর ভাই ধ্রুবজ্যোতি বলেন, ‘‘বৌদি ‘মিস এশিয়া’ হয়েছিলেন। দাদা ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। বৌদি দাদাকে সন্দেহ করত। তা নিয়ে ঝগড়া হত ওঁদের মধ্যে। কিন্তু তাই বলে দাদা বৌদিকে মেরে ফেলতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy