ঘাস কাটতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু মহিলার। নিজস্ব চিত্র।
ঘাস কাটতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সিঙ্গুরের ভোলা গ্রামে। অভিযোগ, ওই এলাকায় হুক করে আলো জ্বালিয়ে দোকান চালানো হয়। ঝোপজঙ্গলে পড়ে থাকা সেই বিদ্যুতের খোলা তারের সংস্পর্শে আসাতেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ বৈদ্যবাটি তারকেশ্বর রোডের পাশে ভোলা গির্জার কাছে ঝোপজঙ্গলের মধ্যে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মৃতদেহ যেখানে পড়ে ছিল, সেখানেই বিদ্যুতের খোলা তারও পড়ে ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার জন্য রাস্তার পাশে দোকান করার চল রয়েছে। ভোলা গির্জার কাছেও এ রকম অনেক দোকান রয়েছে। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয় হুক করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হুকিংয়ের খোলা তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মহিলা।
ভোলা গ্রামের বাদুরি পাড়ার বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের ভগবতী বাদুরি জমিতে ঘাস কেটে বিক্রি করতেন। শনিবারও তিনি ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। হুকিংয়ের তার খোলা অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা দেখার কেউ ছিল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিদ্যুৎ দফতরের সিঙ্গুর ডিভিশনের ম্যানেজার প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহিলার মৃত্যু হয়েছে হুক করার তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। তারের কয়েক জায়গায় জোড়াতালি মারা ছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। কোন দোকান হুক করেছিল তার খোঁজ চলছে।’’
প্রসঙ্গত, এর আগেও এ ভাবেই পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিদ্যুৎ দফতর বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাতেও যে হুঁশ ফেরেনি, শনিবার সকালে সিঙ্গুরের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy