প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে ৮ জুলাই। দিন দশেক আগে গণনাও শেষ। এত দিন পরে শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মাজুতে রাস্তার ধারে মিলল ছাপ মারা পাঁচশোরও বেশি ব্যালট। তবে পুলিশের উদ্ধার করা এই ব্যালট পেপারগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এই বৃষ্টির মধ্যে এত দিন পড়ে থাকার পরেও সেগুলি এত সাফসুতরো থাকে কী ভাবে?
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার এত দিন পরে কী ভাবে এত ব্যালট পেপার এই বর্ষার সময়ে যথেষ্ট পরিষ্কার অবস্থায় পাওয়া সম্ভব, তা তদন্ত করে দেখা হবে।’’
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ মাজুর চংঘুরালি এলাকায় লস্করপুর পঞ্চায়েতের ৪৫ নম্বর বুথের এবং ৪৮ নম্বর বুথের জেলা পরিষদের সিপিএম এবং বিজেপির প্রতীকে ছাপ মারা ব্যালট পেপার মেলে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফটিকগাছি-ধূলাগড় রোডের ফটিকগাছি পোলের কাছে পথ অবরোধ শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূল এবং পুলিশ একযোগে অবরোধ হটানোর চেষ্টা করে বলে বাম নেতাদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। দু’পক্ষই অভিযোগ মানেনি।
বিজেপির জেলা সদর সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘একই ঘটনা সর্বত্র ঘটেছে। গণনার সময়ে সরিয়ে ফেলা বিজেপির ব্যালট পেপার এখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার পরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তাই সেগুলি পরিষ্কার অবস্থায় রয়েছে।’’ সিপিএমের জগৎবল্লভপুর এরিয়া কমিটির সদস্য সুভাষ বেরার কথায়, ‘‘প্রতিটি ব্যালট পেপারের পিছনে সই ও স্ট্যাম্প ছিল। সদ্য ফেলা হয়েছে বলেই মনে হয়।’’
পাঁচলা ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সোমনাথ হালদারের দাবি, ১১ জুলাই সব দলের এজেন্টদের সামনে গণনা হয়। কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সেই গণনার পরেও কী ভাবে এত ব্যালট পেপার পাওয়া যাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তিনিও তোলেন। ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত সত্য সামনে আনার দাবিও জানিয়েছেন ওই ছাত্রনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy