‘বনপলাশীর পদাবলী’ ছবির গানের একটি দৃশ্য। এই সেই কৌশিকী নদ। ইনসেটে নৌকায় উত্তমকুমার।
মহানায়ক উত্তমকুমারের স্মৃতি এখানে আনাচ-কানাচে ছড়ানো। জগৎবল্লভপুরের এই গোহালপোতা গ্রামে এ বার মহানায়কের স্মৃতি বিজড়িত একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। উদ্যোগে শামিল হাওড়া জেলা পরিষদও।
বনপলাশীর পদাবলী, ধন্যি মেয়ে, হার মানা হার, সন্ন্যাসী রাজা, অসাধারণ, রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত, প্রতিশোধ-সহ বহু ছবির শুটিং হয়েছে এই গ্রামে। তার নজিরও ছড়িয়ে রয়েছে এখানে। সম্প্রতি পর্যটন দফতর এবং জেলা পরিষদের কর্তারা যৌথ ভাবে গ্রামটি পরিদর্শন করেন। জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সীতানাথ ঘোষ বলেন, ‘‘পর্যটন দফতর একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে আমাদের কাছে পাঠাবে। তার ভিত্তিতে আমরা কতটা কী করতে পারব সেটা তাদের জানিয়ে দেব।’’ একই বক্তব্য জেলা পরিষদের পর্যটন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অন্তরা সাহারও।
সেই সময়ে এই গ্রামেই বাড়ি ছিল চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী সত্যনারায়ণ খানের। তাঁরই সংস্থা প্রযোজিত এবং পরিবেশিত বহু বাংলা ছবির শুটিং হয়েছে গোহালপোতায়। সেই সুবাদেই উত্তমকুমার-সহ বাংলা ছবির তখনকার তারকারা এই গ্রামে এসে থেকেছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিশেছেন।
মহানায়কের থাকার জন্য এই গ্রামে সত্যনারায়ণবাবু যে তিনতলা বাড়িটি তৈরি করেছিলেন, সেটি তখনকার দিনের তিনতারা হোটেলের সুবিধাসম্পন্ন ছিল। বাড়িটি এখন জীর্ণ। সতানারায়ণবাবুর বংশধরেরা সেখানে ভাড়াটিয়া বসিয়েছেন। এই বাড়িটিকে পর্যটনকেন্দ্রের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে তুলে ধরার কথা ভেবেছিল পর্যটন দফতর। কিন্তু পরে তা পরিকল্পনা থেকে বাদ যায়। সীতানাথবাবু বলেন, ‘‘বাড়িটি ব্যক্তি-মালিকানাধীন। অধিগ্রহণ করার মতো টাকা সরকারের নেই। ফলে, এই বাড়িটিকে বাদ দিয়েই পর্যটনকেন্দ্র করার পরিকল্পনা করতে হচ্ছে।’’
গোহালপোতার বুক চিরে বয়ে গিয়েছে কানা দামোদর বা কৌশিকী নদ। নৌকায় যেতে যেতে মহানায়কের লিপে ‘বনপলাশীর পদাবলী’ ছবির বিখ্যাত গান ‘ভোলা মন আমার...’এর শুটিং হয়েছিল এই নদেই। নদের ধারে একটি ইকো-পার্ক গড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জেলা পরিষদ ও পর্যটন দফতর সূত্রের খবর। সেখানে থাকবে এই গ্রামে মহানায়ক যে সব সিনেমার শুটিং করেছিলেন, তার ‘স্টিল’ ছবি।
জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পিছনেই এখনও আছে সেই মাঠ, যেখানে ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবির ফুটবল খেলার শুটিং হয়েছিল। মাঠটি চিহ্নিত করা হবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে। মাঠের ধারে ‘ডিসপ্লে বোর্ড’ দিয়ে ‘ধন্যি মেয়ে’-র সেই ফুটবল খেলার দৃশ্য তুলে ধরার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। মহানায়কের থাকার জন্য যে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল, তার সামনেই তোলা হয়েছিল ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ছবিতে জনতার গেট ভেঙে রাজবাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ার দৃশ্য। চিহ্নিত করা হবে সেই জায়গাটিও।
সে সব দিনের সাক্ষী আছেন গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রবীণ। তাঁদের স্মৃতিতে উত্তমকুমার ছাড়াও এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছেন সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়াদেবী, জয়া ভাদুড়ি, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অনিল চট্টোপাধ্যায়ের মতো দিকপালেরা। এই গ্রামে শুটিং হওয়া সিনেমাগুলি টিভির পর্দায় যখন ভেসে ওঠে, ওই প্রবীণেরা তখন ডুব দেন অতীতে।
জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালের পিছনেই এখনও আছে সেই মাঠ, যেখানে ‘ধন্যি মেয়ে’ ছবির ফুটবল খেলার শুটিং হয়েছিল। মাঠটি চিহ্নিত করা হবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে। মাঠের ধারে ‘ডিসপ্লে বোর্ড’ দিয়ে ‘ধন্যি মেয়ে’-র সেই ফুটবল খেলার দৃশ্য তুলে ধরার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। মহানায়কের থাকার জন্য যে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল, তার সামনেই তোলা হয়েছিল ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ছবিতে জনতার গেট ভেঙে রাজবাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ার দৃশ্য। চিহ্নিত করা হবে সেই জায়গাটিও।
সে সব দিনের সাক্ষী আছেন গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রবীণ। তাঁদের স্মৃতিতে উত্তমকুমার ছাড়াও এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছেন সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়াদেবী, জয়া ভাদুড়ি, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অনিল চট্টোপাধ্যায়ের মতো দিকপালেরা। এই গ্রামে শুটিং হওয়া সিনেমাগুলি টিভির পর্দায় যখন ভেসে ওঠে, ওই প্রবীণেরা তখন ডুব দেন অতীতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy