—প্রতীকী ছবি।
গাঁজা পাচারের ‘সেফ করিডর’ হিসেবে পাচারকারীরা যে হাওড়ার ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে, তা প্রমাণিত হল আরও এক বার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জায়গা থেকে প্রায় ২৩০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল হাওড়া সিটি পুলিশ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের অঙ্কুরহাটি ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে দু’টি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই পরিমাণ গাঁজা। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উলুবেড়িয়া থেকে একটি গাড়িকে ধাওয়া করে জেলা পুলিশ। শেষে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ডোমজুড় থানা এলাকার অঙ্কুরহাটির সরস্বতী সেতুর কাছে সেটির পথ আটকায় পুলিশের গাড়ি। তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৬৫ কেজি গাঁজা। গাড়িতে থাকা দুই পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওড়িশার গঞ্জাম জেলা থেকে এনে ওই গাঁজা পাচার হচ্ছিল নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে। ধৃতদের থেকে দু’টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। আটক করা হয়েছে গাড়িটি।
এর পরের ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকালে, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের হ্যাংস্যাং মোড়ে। নাকা তল্লাশির সময়ে প্রায় ৬৫ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। একটি সাদা গাড়িতে তিনটি সাদা ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় টহলরত পুলিশকর্মীদের। তাঁরা গাড়িটি আটকে ব্যাগগুলি খুলতেই গাঁজা বেরিয়ে আসে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়িচালক বিদ্যুৎ কর্মকারকে। ওড়িশার বারিপদার বাসিন্দা বিদ্যুৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ওই রাজ্য থেকে খিদিরপুরে এই গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল। দু’টি ঘটনার পিছনে কোনও বড় চক্র জড়িত কি না, কার কাছে ওই গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল— সে সব খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy