উদ্ধার বৃদ্ধা। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহখানেক আগে জামশেদপুরের গোলমুড়ি থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বছর তেষট্টির মূক-বধির এক বৃদ্ধা। বুধবার চুঁচুড়া থেকে বিন্ধ্যাচল দেবী নামে ওই বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন পরিবারের লোকেরা। চুঁচুড়া ও জামশেদপুরের দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৎপরতাতেই তা সম্ভব হল।
শনিবার রাতে ব্যান্ডেলের কেওটা কালীবাড়ির কাছে বিধ্বস্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়েরা। তখনও তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁকে উদ্ধার করে কারবালার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কার্যালয়ে দিয়ে আসেন তাঁরা। তিনি মূক-বধির সে দিনই বুঝতে পারেন সংস্থার কর্মীরা। ‘সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ’ (মূকদের ইশারা) জানা এক ব্যাক্তিকে এনে চেষ্টা করা হলেও তা বিফলে যায়। বৃদ্ধার কাছে থাকা একটি ছোট ব্যাগে ‘জামশেদপুর’ লেখা কাগজ মেলে। তারপরই যোগাযোগ করা হয় ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের একাধিক থানায়। যদিও সেখান থেকে খুব একটা সহযোগিতা মেলেনি বলেই দাবি ওই সংস্থার কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দত্তের৷
ইন্দ্রজিৎ জানান, পুলিশ ছাড়াও যোগাযোগ করা হয়েছিল জামশেদপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে। ওই সংগঠন সমাজমাধ্যমে বৃদ্ধার ছবি ছড়িয়ে দেয়। অবশেষে সোমবার রাতে তা দেখে প্রৌঢ়ার পরিবার যোগাযোগ করে।
বুধবার দুপুরে বৃদ্ধাকে নিতে চুঁচুড়ায় আসেন পরিবারের তিন সদস্য। বাড়ির লোকদের দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিন্ধ্যাচল দেবী। ওই পরিবারের লোকজন জানা্ন, গত ২৪ জুলাই দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান বৃদ্ধা। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও হদিস না মেলায় গোলমুড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
ওই পরিবারের সদস্যেরা ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সংস্থার সদস্যদের। ইন্দ্রজিৎ বলেন, ‘‘বহু নিখোঁজ মানুষকে ঘরে ফিরিয়েছি। কিন্তু পড়াশোনা না জানা, মূক-বধির কাউকে ঘরে ফেরানো সত্যিই চ্যালেঞ্জ ছিল। তা করতে পারে ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy