— প্রতীকী চিত্র।
হুগলির পাণ্ডুয়ায় যুবতীর রহস্যমৃত্যু। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা খুঁজে বার করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত যুবতীর প্রেমিক আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাণ্ডুয়ার মহানাদের একটি স্কুলের কোয়ার্টারে মায়ের সঙ্গে থাকতেন ২১ বছরের সৌমি গঙ্গোপাধ্যায়। মা ওই স্কুলের শিক্ষিকা। মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টারের একটি ঘরে যুবতীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার সকালে অকুস্থল ঘুরে দেখেন পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তার পরেই প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, যুবতীকে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মৃত যুবতীর মায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একই এলাকার বাসিন্দা সৈকত সরকার নামে এক যুবকের সঙ্গে এক সময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবতীর। যুবতীর বাড়িতে যাতায়াতও ছিল সৈকতের। কিন্তু মাস ছ’য়েক আগে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। সম্প্রতি সম্পর্ক ঠিক করার প্রয়াস চলছিল বলেও স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে। সম্পর্কের সেই টানাপড়েন থেকেই কি খুন? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। বুধবার সকালে খবর পাওয়া যায়, সৈকত বিষ পান করেছেন। তাঁকে প্রথমে পাণ্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে চুঁচুড়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। বর্তমানে সৈকত সেখানেই চিকিৎসাধীন। যুবতীর মৃত্যুর সঙ্গে সৈকতের বিষপানের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সরকার বলেন, ‘‘মৃতার মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। সম্পর্কের টানাপড়েনে এই খুন বলে মনে হচ্ছে। সৈকত সরকারের বিরুদ্ধে যুবতীর মা অভিযোগ করেছেন। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
বুধবারই চুঁচুড়া ইমামবড়া হাসপাতালে যুবতীর দেহের ময়নাতদন্ত করানো হবে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy