পুলিশের জালে তিন ডাকাত। — নিজস্ব চিত্র।
কাকভোরে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সশস্ত্র ডাকাত দল। গৃহকর্তাকে মারধরের পর তাঁর সাত বছরের ছেলের মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে লুটপাট চালানো হয়েছিল বাড়িতে। শুক্রবার সেই ডাকাতির কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলল হুগলি পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। এর আগে ডানকুনিতে সোনার দোকানে ডাকাতি চালিয়েছিল একটি দল। সেই দলটিও ধরা পড়ে হুগলির চন্দননগর কমিশনারেটের আওতায় থাকা ভদ্রেশ্বর থানার এক পুলিশ আধিকারিকের তৎপরতায়। ওই ঘটনাতেও গ্রেফতার করা হয়েছিল বিহারের দুষ্কৃতীদের।
শুক্রবার ভোরে হাওড়া জগৎবল্লভপুরে এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ ওঠে। ডাকাতি করে পালানোর সময় হুগলির চণ্ডীতলার মশাটে ধরা পড়ে যান তিন জন। মশাটে একটি স্কুটিতে চার জনকে চড়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশ কর্মীরা ওই স্কুটিটিকে আটক করেন। এর মধ্যেই অবশ্য এক দুষ্কৃতী চম্পট দেন। বাকিরা ধরা পড়ে যান। হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘ভোর ৪টে নাগাদ আমাদের কাছে খবর আসে হাওড়ায় একটি ডাকাতি হয়েছে। সেই সময় চণ্ডীতলার মশাটে মোটরবাইকে করে টহল দিচ্ছিল পুলিশ। একটি স্কুটিতে চার জন ছিল। তাতে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁদের আটকাতে যান। সেই সময় তাঁরা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ধাওয়া করে তিন জনকে আটক করে পুলিশ। এক জন পালিয়ে যান।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছন চণ্ডীতলা থানার ওসি সুদীপ্ত সাঁধুখা। ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, দু’টি কার্তুজ, একটি লোহার রড। মনে করা হচ্ছে ওই রড দিয়ে তালা ভাঙা হত। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছে, ৩০০ গ্রাম সোনার গয়না এবং ২০০ গ্রাম রুপো। জগৎবল্লভপুরে কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় বেশ কিছু টাকাও লুটের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ধৃতদের কাছ থেকে সেই টাকা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার। মনে করা হচ্ছে, লুটের মালপত্র নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন দুষ্কৃতীরা।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ার পর হাওড়া জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা নিশ্চিত হয়ে যান, ধৃতরাই জগৎবল্লভপুরের ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। শুক্রবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। দুষ্কৃতীদের ৮ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি, ধৃতদের পলাতক সঙ্গীর খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি।
হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা হাওড়াতেই ডেরা গেড়েছিল। তাঁরা মূলত সোনার দোকান এবং বাড়িতে ডাকাতি করত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চুরি এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই কারণে পুলিশ সতর্ক ছিল। বহিরাগত বা অচেনা লোক দেখলে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হত। তাতেই মিলেছে এই সাফল্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy