সরস্বতী পুজোর দিন প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে স্নান সেরেছিলেন তিনি। বুধবার, মাঘ সংক্রান্তির দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র, হুগলির ত্রিবেণীর কুম্ভমেলায় এসে গঙ্গায় নেমেও ডুব দিলেন না তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মাথায় জল ছিটিয়েই উঠে পড়লেন। যা নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রয়াগের কুম্ভে রচনাকে দেখা গিয়েছিল গেরুয়া বসনে। ত্রিবেণীতে তিনি আসেন সবুজ শাড়িতে। দু’রাজ্যে পোশাকের দু’রকম রং নিয়ে রচনার ব্যাখ্যা, ‘‘আমি কালার থেরাপি করি। বার দেখে রং বাছি। বুধবার বলে সবুজ পরেছি।’’
সুকান্ত অবশ্য এ দিন স্নান সেরেছেন ত্রিবেণীর কুম্ভে। প্রয়াগরাজ থেকে আনা জলও মিশিয়েছেন এখানকার গঙ্গায়। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে দলের কানমলা খেতে হয়েছে। সেই রাগেই এখানে ডুব দেননি সাংসদ।’’
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে ভাল ব্যবস্থাপনার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করেছিলেন রচনা। যা নিয়ে বিজেপির কটাক্ষে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল। এ দিন সুকান্তের কটাক্ষের উত্তর না দিলেও রচনা বলেন, ‘‘ওখানে (প্রয়াগরাজে) দুর্ঘটনার দিন কী ব্যবস্থা ছিল, আমি জানি না। আমি যে দিন যাই, ভিআইপি আর সাধারণ মানুষের মধ্যে
কোনও আলাদা ব্যবস্থা ছিল না। সবাইকে এক জায়গাতেই গাড়ি রেখে হেঁটে আসতে হয়েছে। যেটা আমার খুব ভাল লেগেছে। ভাল ব্যবস্থাপনা ছিল।’’ এর পরেই রচনার সংযোজন, ‘‘আমি তো প্রয়াগের কুম্ভে স্নান করেইছি। এখানে ভিড় থাকায় তাই আর করলাম না।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)