সুবীর চাকী খুনের ঘটনায় ধৃত দুই। নিজস্ব চিত্র
এক পক্ষকাল ধরে চলছিল দৌড়। কখনও সুন্দরবন, কখনও ডায়মন্ড হারবার। শেষে গড়িয়াহাট জোড়া খুনের মূল চক্রী ভিকি হালদার এবং তাঁর শাগরেদ শুভঙ্কর মল্লিকের খোঁজ পাওয়া গেল আরব সাগরের তীরে।
শনিবার মুম্বই শহরের পারোল ইস্টের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় ভিকি এবং শুভঙ্করকে। গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তবে এই গ্রেফাতারি পর্বে প্রতি মুহূর্তে অত্যন্ত ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ করতে হয়েছে গোয়েন্দাদের। কেন না প্রতি মুহূর্তে নিজেদের অবস্থান বদলে পুলিশকে বারবার ফাঁকি দিয়েছেন ভিকি। আর প্রতি বারই অঙ্ক কষে তাঁদের সঠিক অবস্থান খুঁজে বের করতে হয়েছে পুলিশকে।
সূত্রের খবর, ১৭ অক্টোবর গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুন করার পরদিনই হাওড়া থেকে পরেশনাথের টিকিট কেটে মুম্বইগামী ট্রেনে উঠে পড়েন ভিকিরা। তবে পরেশনাথের টিকিট কাটলেও ভিকিরা সেখানে যাননি। তাঁরা নামেন মুম্বইয়ে।
এ দিকে পুলিশের কাছেও খবর আসে, রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে মুম্বই মেলে উঠেছেন ভিকিরা। তাঁদের গন্তব্য পরেশনাথ। ভিকিদের ধাওয়া করে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার কর্মীরা পৌঁছে যান পরেশনাথে। পরে সেখানে ভিকিদের না পেয়ে মুম্বই যান কলকাতার গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের কালাচৌকি এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিলেন দু’জনেই। পারোলের ডক্টর এসএস মার্গের ওই বহুতলটির নাম কল্পতরু আভানা। শনিবার সেখানেই অভিযান চালিয়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে গ্রেফতার করা হয় ভিকি এবং শুভঙ্করকে।
শনিবারই তাঁদের স্থানীয় আদালতে পেশ করা হয়। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে ভিকি এবং শুভঙ্করকে কলকাতায় ফেরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় ফিরেই ভিকি এবং শুভঙ্করকে তোলা হবে আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy