সুচেতনা ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসুর পেনশনের ‘নমিনি’ হতে নারাজ বুদ্ধদেব-কন্যা সুচেতনা। বুধবার সুচেতনা বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি সুচেতনা জানিয়েছেন, ইরার সাম্প্রতিক আচরণে তিনি এবং তাঁর বাবা-মা ‘অত্যন্ত বিরক্ত’।
মঙ্গলবার প্রাক্তন স্কুল শিক্ষিকা ইরার পেনশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। ইরা তাঁর পেনশনের ‘নমিনি’ হিসেবে বোনপো সুচেতনার নাম রেখেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে বুধবার সুচেতনা ইমেল বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আমি অবহিত হলাম যে অর্থ দফতর ইরা বসুর পেনশন চালু করেছে (সুখের খবর) এবং এ-ও জানতে পারলাম যে আমাকে উনি তাঁর নমিনি করেছেন। আমি এই মর্মে দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে ইরা বসুর স্থাবর ও অস্থাবর কোনও সম্পত্তি আমি কোনও ভাবে কোনও দিনই গ্রহণ করব না।’
সেই সঙ্গে লিখিত বিবৃতিতে সুচেতনার মন্তব্য, ‘ইরা বসুর বর্তমান ব্যবহারে আমার বাবা-মা এবং আমি অত্যন্ত বিরক্ত হচ্ছি। আশা করব উনি সুস্থ নীরোগ জীবনযাপন করবেন এবং অনুরোধ করব উনি যেন ভবিষ্যতে ওনার কোনও কার্যকলাপে আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করেন।’
লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতাল থেকে ইরা কয়েক দিন আগে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে থাকাকালীন ইরার সঙ্গে পেনশন প্রসঙ্গে কথা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রতিনিধির সঙ্গে। তার পরেই পেনশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য অর্থ দফতর। ঘটনাচক্রে, ইরা বুধবারই তাঁর পেনশনের নথি হাতে পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল খড়দহ প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন ইরা। সম্প্রতি, ‘ভবঘুরে’ ইরাকে পাওয়া গিয়েছিল ডানলপ মোড়ের কাছে ফুটপাতে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। সে সময় বুদ্ধদেবের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, ইরা তাঁর নিজের বোন। তিনি স্বেচ্ছায় ওই জীবন বেছে নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy