আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ। ছবি: সারমিন বেগম।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ‘বিচার পেতে আলোর পথে’ নামে কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। আরজি করেও সেই কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাদের অভিযোগ, “টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কেন? এই প্রশ্নের উত্তর চাই।”
আরজি করে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে কী ভাবে কোনও পরীক্ষা ছাড়াই বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওঁদের হাতে-পায়ে ধরেছেন মেয়ের মুখ দেখার জন্য। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? আমি টালা থানায় এফআইআর করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা থেকে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সেই এফআইআর রাত পৌনে ১২টায় নথিভুক্ত হল কেন? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?’’
নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, ‘‘আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। আমরা সেখান থেকে ফিরে যাই। দেহ দাহ করতে দিতে বাধ্য হই আমরা। শ্মশানের টাকাও নেওয়া হল না আমার থেকে। আমার মেয়ে জানল, বাপি এই টাকাটাও দিতে পারল না! ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বার বার মিথ্যা কথা বলছেন।” এর পরেই তাঁর অভিযোগ, “মেয়ের দেহ যখন বাড়িতে তখন ডিসি নর্থ ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা আমাদের মতো জবাব দিই।” পুলিশের বিরুদ্ধে দেহ সৎকারেও তাড়াহুড়ো করার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, “সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিই।” পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমি চাই, অপরাধীরাও আমার মতো ঘুমহারা হোক। যত দিন বিচার না পাচ্ছি, আন্দোলন চলুক।’’ এর আগেও নির্যাতিতার পরিবার চিকিৎসকদের আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy