সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা জানালেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা। তবুও, সব দিক খতিয়ে দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব চিকিৎসককে নিয়ে একটি জেনারেল বডি মিটিংয়ের পর জানিয়ে দেওয়া হবে পরবর্তী কর্মসূচি।
সোমবার দুপুরেই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে কী বলছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা?
আরও পড়ুন:
আরজি করের এক আন্দোলনরত চিকিৎসক জানাচ্ছেন, আরজি কর মামলার শুনানিতে হতাশ হয়েছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করবেন তাঁরা। কিন্তু এই আবহে পরবর্তী কালে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা এখনও স্থির করেননি তাঁরা। আপাতত প্রতিটি কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারেরা পৃথক পৃথক ভাবে একটি প্রাথমিক বৈঠক করবেন। এর পর বিকাল ৫টা নাগাদ আরজি কর-সহ সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা মিলে একটি সম্মিলিত জেনারেল বডি বৈঠক (জিবি) করবেন। সেই বৈঠকের পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি করে চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন তাঁরা। আরজি করের সামনে চলছে অবস্থানও। রাজ্য সরকারের তরফে বার বার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেননি। সোমবারের শুনানিতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, আমরা তো বলেছি। আগামী কাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এর পরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’’ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানায়, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুযোগসুবিধা জেনে, তবেই পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।