স্বামী সন্তোষ ও মেয়ে রাবিকার সঙ্গে দীপালি। বুধবার। ছবিঃ দীপঙ্কর মজুমদার।
দেড় বছর পরে পরিবারের সঙ্গে দেখা হল স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে হাওড়ার জয়পুরের সেহাগড়িতে আশ্রয় পাওয়া দীপালি দেবীর। কথা মতো বুধবার ডিমাপুর থেকে সেহাগড়িতে পৌঁছন দীপালির স্বামী সন্তোষ শর্মা। ছোটো মেয়ে রাবিকাকে নিয়ে এ দিন সেহাগড়িতে আসেন সন্তোষ। বড় মেয়ে চাঁদনি রয়েছে গৌহাটিতে। স্বামী আর মেয়েকে দেখে এ দিন আনন্দে কেঁদে ফেলেন দীপালি।
ডিমাপুরে ছোটখাটো কাজ করেন সন্তোষ। স্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর উপরে বেজায় চটেছিলেন তিনি। তবে এখন সব ঘটনা জানার পরে রাগ পড়েছে স্বামীরও। এ দিন সন্তোষ বলেন, ‘‘প্রথমে খুব খারাপ লেগেছিল দুধের শিশুকে ফেলে ও চলে যাওয়ায়। সব ঘটনা জানার পরে এখন আর রাগ নেই। এ বার তাড়াতাড়ি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরতে চাই।’’
ন’মাস আগে স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে সেহাগড়িতে পৌঁছেছিলেন দীপালি। রাস্তায় উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরতেন। কী ভাবে সেহাগড়ি পৌঁছেছিলেন, তা দীপালি মনে করতে পারেন না। শুধু মনে আছে, ট্রেনে চেপেছিলেন। তার পরে কেউ তাঁকে একটা ওষুধ খাইয়েছিল। সেহাগড়িতে দীপালিকে আগলে রেখে, সুস্থ করে তুলতে যাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের অন্যতম স্থানীয় ব্যবসায়ী তন্ময় হাজরা। এ দিন তন্ময় বলেন, ‘‘সন্তোষকে দেখতে এ দিন অনেকে এসেছেন। ওঁদের আমরা অনেক উপহার কিনে দিয়েছি। দু’-তিন দিন উনি এখানে থাকবেন। এখানে একটা কালীপুজো হয়। দীপালি বলেছে ওই পুজো দেখে তার পরে ফিরবে।’’
এ দিন ছোট মেয়েকে দেখে আবেগে ভেসে যান দীপালি। তাকে জড়িয়ে ধরে আদরে ভরিয়ে দেন তিনি। তাঁর মতো তাঁর স্বামী-মেয়েকেও যেন যত্ন করা হয়, কয়েক দিন ধরে সেই আবদার করেছিলেন তন্ময়ের কাছে। এ দিন তন্ময়ের বাড়িতেই দীপালি ও সন্তোষ খাওয়া-দাওয়া আর বিশ্রাম করেন। তন্ময় বলেন, ‘‘এত দিন আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল। দীপালি সুস্থ হয়ে যাওয়ায় খুব আনন্দ হচ্ছে। আবার ও ফিরে যাবে ভেবে মনটাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy