—প্রতীকী চিত্র।
তন্ত্রসাধনার নামে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া তান্ত্রিকের ফাঁসির নির্দেশ দিল হুগলির আরামবাগ মহকুমা আদালত। শিশুটির দিদিমারও যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হয়েছে।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে আরামবাগ মহকুমা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। নিজের সিদ্ধিলাভের জন্য নাতনিকে এক তান্ত্রিক দম্পতির কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন দিদিমা। এর পর সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করে তার দেহ এক প্রতিবেশীর বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। মেয়েকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন শিশুটির বাবা-মা। থানাতেও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরে তদন্তে নেমে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তান্ত্রিক দম্পতি ও শিশুর দিদিমাকে। সেই মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষণা করে আরামবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক কৃষাণকুমার আগরওয়াল।
আদালত সূত্রেই জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি জেল হেফাজতে থাকাকালীন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পুরুষ তান্ত্রিকের। ফাঁসির সাজা হয়েছে তাঁর স্ত্রীর। দোষীদের ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। শিশুর পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্যের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। দোষীদের আইনজীবী জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy