আগামী ১৫ দিন ধরে কিচেনগুলি থেকে দুবেলা রান্না করা খাবার দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র।
ইয়াসের জেরে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রবিবার ৩টি কমিউনিটি কিচেন চালু করল সুন্দরবন জেলা পুলিশ। আগামী ১৫ দিন ধরে ওই কিচেনগুলি থেকে দু’বেলা রান্না করা খাবার দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং পূর্ণিমার কোটালের জেরে বাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ উপকূল এলাকা প্লাবিত। সুন্দরবন পুলিশ জেলার অধীনে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার মৌসুনি দ্বীপ, সাগর থানার ঘোড়ামারা দ্বীপ এবং কাকদ্বীপের নারায়ণপুর পুরোপুরি প্লাবিত হওয়ায় ঘরছাড়া বহু মানুষ। ওই এলাকাগুলিতে খাবার ও পানীয় জলের প্রবল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই ওই ৩টি জায়গায় অন্তত ১টি করে কমিউনিটি কিচেন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করে সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া কিশোর হাইস্কুল, ঘোড়ামারার মিলন বিদ্যাপীঠ এবং নারায়ণপুরের নারায়ণ বিদ্যামন্দিরে রবিবার থেকে কমিউনিটি কিচেন চালু করেছে জেলা পুলিশ। এর মাধ্যমে দুর্যোগ কবলিত এলাকার প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ দু’বেলা রান্না করা খাবার ও পানীয় জল পাবেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রবিবার নামখানায় মৌসুনি দ্বীপের কমিউনিটি কিচেনটি উদ্বোধন করেন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এবং সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। এ ছাড়াও অন্য ২টি কমিউনিটি কিচেন উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিক। ভাস্কর বলেন, “দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ঘরহারা মানুষের মুখে খাবার পৌঁছে দিতে আমরা এই প্রচেষ্টা শুরু করেছি। আশা করি, এতে সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা অনেকটাই উপকৃত হবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy