‘জওয়াদ’ এবং অমাবস্যা— দু’য়ের প্রভাবে হতে পারে জলোচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি।
শীতের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’। এখনও পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করলেও তা ক্রমেই স্থলভাগের দিকে সরে আসছে। এখনও পর্যন্ত ঝড়ের যা গতিপথ তাতে ওড়িশার উপকূলেই আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায়। শনিবার আবার অমাবস্যা। দুই মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলায় হতে পারে জলোচ্ছ্বাস।
এ বছর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর আছড়ে পড়ার সময়ে ছিল ভরা কটাল। দুইয়ের জেরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সাক্ষী ছিল উপকূলের দুই জেলা। দিঘা, মন্দারমণির পাশাপাশি সাগর, ঘোড়ামারা এবং মৌসুনি দ্বীপ-সহ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। নদীবাঁধগুলি ছাপিয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা।
অমাবস্যার এবং ‘জওয়াদ’-এর মিলিত প্রভাবে ফের জলোস্ফীতি হতে পারে দিঘার সমুদ্রে। সুন্দরবন এলাকার নদীগুলির জলও বাঁধ ছাপিয়ে উপচে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইয়াসের সময় পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ হয়েছিল, এ বার ততটা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মনে করছেন আবহবিদরা। কারণ ‘জওয়াদ’ যখন বাংলায় ঢুকবে তখন তা শক্তি হারিয়ে পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। তুলনায় ‘ইয়াস’ ছিল অনেক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এবং তা অনেক বেশি শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছিল বাংলার উপকূলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy