ডেউচা-পাঁচামি প্রকল্পের এলাকায় পুলিশ-প্রশাসনের ‘জুলুম’ বন্ধ ও জোর করে উচ্ছেদের প্রতিবাদে এ বার দলের আদিবাসী ও সামাজিক ন্যায় মঞ্চকে আসরে নামাচ্ছে সিপিএম। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চ এবং পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সঙ্ঘের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী শুক্রবার ওই দাবিতে সিউড়িতে বিক্ষোভ হবে। তিন সংগঠনের ডাকে সিউড়ির বেণীমাধব ইনস্টিটিউটের মাঠে সমাবেশ করে জেলাশাসকের কাছে প্রতিবাদ জানাতে যাওয়া হবে।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে বুধবার ‘দলিত শোষণ মুক্তি মোর্চা’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম অভিযোগ করেছেন, ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন লঙ্ঘন করে কাজ চলছে। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য প্রশাসন এবং মাফিয়ারা সব প্রতিবাদকে স্তব্ধ করতে চেষ্টা করছে। ওখানে কয়লা তোলা হবে না। তার নাম করে ব্যাসল্ট, গ্রানাইট তুলে রফতানি করবে আদানি গোষ্ঠী। আদিবাসীদের, এলাকার বাসিন্দাদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। দেখানো হচ্ছে এই লুট প্রতিবাদহীন। বাস্তব কিন্তু মোটেই তা নয়!’’
বিক্ষোভ-কর্মসূচির ঘোষণায় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক ন্যায় মঞ্চের সম্পাদক অলকেশ দাস, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কেও। তাঁদের বক্তব্য, বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকে কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য ১১টি গ্রামের প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেন। পার্শ্ববর্তী ৭০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা, পরিবেশ বিপন্ন হবে। এই জমির বেশির ভাগই আদিবাসীদের।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)