Advertisement
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
CPIM

সিপিএমের কৃষক, শ্রমিক ফ্রন্টের ডাকে এ বার ব্রিগেড

বাম সূত্রের ব্যাখ্যা, রাজ্যে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মূলত খেটে খাওয়া, প্রান্তিক জনতার কাছে দলের সংগঠনকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।

ব্রিগেড সমাবেশের ঘোষণায় সিপিএমের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব।

ব্রিগেড সমাবেশের ঘোষণায় সিপিএমের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:১৭
Share: Save:

যুব সংগঠনের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছিল ২০২৪ সালে। এ বার সিপিএমের কৃষক, খেতমজুর ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে আগামী ২০ এপ্রিল। সিপিএমের শ্রেণিভিত্তিক সংগঠনগুলির তরফে এমন সমাবেশের আয়োজন সাম্প্রতিক কালে প্রথম। বাম সূত্রের ব্যাখ্যা, রাজ্যে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মূলত খেটে খাওয়া, প্রান্তিক জনতার কাছে দলের সংগঠনকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।

শ্রম কোড বাতিল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, শ্রমিক ও খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি-সহ ১০ দফা দাবি সামনে রেখে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছে কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন এবং সিটু। সঙ্গে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতি। আর জি কর-কাণ্ডে ন্যায়-বিচার এবং নারী নির্যাতনের প্রতিবাদের কথাও রয়েছে সমাবেশের দাবির মধ্যে। সিটুর তরফে অনাদি সাহু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, কৃষক সভার অমল হালদার, তুষার ঘোষ, খেতমজুর ইউনিয়নের নিরাপদ সর্দারেরা শনিবার ঘোষণা করেছেন, ব্রিগেডের আগে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস জুড়ে জেলায় জেলায় পদযাত্রা ও নানা কর্মসূচি চলবে। সচরাচর ব্রিগেড সমাবেশ শীতকালে হয়। সিপিএম সূত্রের বক্তব্য, এ বার দলের সম্মেলন-পর্ব এবং পার্টি কংগ্রেসের জন্য সমাবেশ পিছিয়ে এপ্রিলে করা হচ্ছে।

সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি ও রাজ্য সভাপতি সুভাষ কলকাতা প্রেস ক্লাবে এ দিন শ্রমিক-কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতির কথাও তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে, দুর্নীতি, কেলেঙ্কারিতে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা হয় জেলে না হয় ‘বেল’-এ (জামিন) আছেন! রাজ্যের অর্থনীতি বিপর্যস্ত, প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের জালে রাজ্য। গত ১৩ বছর রাজ্যে কোনও শিল্প বা নতুন বিনিয়োগ নেই। রাজ্যে কাজ নেই, বেকার যুবক-যুবতীরা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে কাজের সন্ধানে অনিশ্চিত জীবন নিয়ে ভিন্ রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা বিপন্ন, আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারও প্রহসনে পরিণত হয়েছে!’’

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, ‘‘শূন্য হয়ে যাওয়া দলের অন্তিম আর্তনাদ! বাংলার মানুষ সামনের দিকে এগোতে চাইছেন। ছেড়ে আসা অন্ধকারে ফিরবেন কেন?’’

অন্য বিষয়গুলি:

Brigade Left Farmers Labours
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy