ফাইল চিত্র।
রায়দান হয়েছে গত শনিবার। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকনের কর্ণধার মনোরঞ্জন রায়-সহ আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ওই মামলাতেই আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এ বার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার সুপ্রকাশ রায়কে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিল আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের তিন নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, এ দিন থেকেই পিনকনের আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর জেল হেফাজতে থাকা মনোরঞ্জন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতে চিঠি দিয়ে জানায়, সে অসুস্থ। রায়দানে হাজির হতে পারবে না। বিচারক তখন জেলের সুপারকে নির্দেশ দেন, মেডিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে হলেও মনোরঞ্জনকে আদালতে হাজির করাতে হবে। এর পরেও আদালতে হাজির করানো যায়নি মনোরঞ্জনকে।
ক্ষুব্ধ বিচারক এ দিন স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে ওই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পরিবর্তে সেখানে সৎ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে বলেছেন তিনি। কারা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এখনও এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ তাঁরা পাননি।
এই মামলায় স্বরাষ্ট্র দফতরের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারক চিঠিতে লিখেছেন, ‘এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে যদি তারা মনে করে সব দফতর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং আইনমাফিক মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার মতো যোগ্য লোক নেই, তা হলে আদালতে বিষয়টি জানাক। আদালত পুলিশ ও সব পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে অসৎ আধিকারিকদের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করবে’। অর্থনৈতিক দুর্নীতি দমন শাখার সরকার পক্ষের বিশেষ আইনজীবী সৌমেনকুমার দত্ত বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে পদ থেকে সরানোর কথা বলেছেন বিচারক। আমানতকারীদের টাকা ফেরাতেও নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার আর এক ফেরার অভিযুক্ত মৌসুমী রায়কেও গ্রেফতারের জন্য বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘ডিরেক্টর অব ইকনমিক অফেন্স’ এবং কলকাতার নেতাজি নগর থানাকে। মৌসুমীকে ধরতে না পারায় এ দিনের চিঠিতে ‘ডিরেক্টর অব ইকনমিক অফেন্স’ ও নেতাজি নগর থানার দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক।
যে বেসরকারি হাসপাতালে মনোরঞ্জন চিকিৎসাধীন বলে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানের পাঁচ চিকিৎসক এবং হাসপাতাল সম্পর্কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবনের ‘হেলথ সার্ভিস ডিরেক্টর’কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ব্যাপারে ‘মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’কে হস্তক্ষেপ করার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy