মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলা হয়ে উঠছে ভারতের অন্যতম গন্তব্য। রাজ্যে বিনিয়োগ করলে সব রকম সহায়তা করবে সরকার। বুধবার বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নয়া ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘শুধু ইনফোসিসের জন্য নয়, বাংলার জন্যও আজকের দিনটি ঐতিহাসিক।’’ এর ফলে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান তৈরি হবে, এমনটাই বিশ্বাস তাঁর।
বুধবার বিকেলে নিউ টাউনের হাতিশালায় ইনফোসিসের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বলেন, ‘‘বাংলা এখন শিল্পের জন্য আদর্শ জায়গা। একাধিক সংস্থা বাংলায় শিল্প গড়ে তুলেছে। আগামী দিনেও করবে। এর মধ্যে একাধিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে। আমরা আমেরিকার ধাঁচে এখানে দু’হাজার একর জমির উপর সিলিকন ভ্যালি তৈরি করেছি। সেখানে ২৭ হাজার কোটি টাকার লগ্নি হয়েছে। তা থেকে অদূর ভবিষ্যতে ৭৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়াও, রাজ্যে ২২টি আইটি পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে।’’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন রাজ্যে কোনও সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। আজ বাংলা দেশের অন্যতম আইটি-কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এটি আমাদের জন্যও গর্বের।’’
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বাংলায় দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মীরা রয়েছেন। প্রতিভার নিরিখে বাঙালিরা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বিশ্বের সর্বত্র নানা পরিসরে কাজ করছেন বাংলার ছেলেমেয়েরা। চলতি বছরেও বাংলার প্রায় ৪৫ হাজারেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার নানা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য দ্রুত গতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এককালে আকছার বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা ঘটত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এখন সেই সমস্যারও সমাধান করেছে সরকার। এ ছাড়াও, বাংলায় ক্রমবর্ধমান চাহিদা, নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত বিদ্যুতের জোগান, কাজের পরিবেশ, কম উৎপাদন খরচ-সহ একাধিক সুবিধা রয়েছে। ফলে বাংলায় শিল্পের অনুকূল পরিকাঠামো রয়েছে। সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গ দেশের অন্যতম ‘আইটি হাব’ হয়ে উঠতে পেরেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরেই মমতা বলেন, ‘‘আপনারা বঙ্গে আরও বিনিয়োগ করুন। সরকার সব রকম সহযোগিতা করবে।’’
প্রসঙ্গত, নিউ টাউনের হাতিশালায় প্রায় ১৭ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ইনফোসিসের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। সংস্থার দাবি, নতুন ক্যাম্পাসে চার হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে রাজ্যে নতুন শিল্প বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাঁকবদল হতে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy