Advertisement
E-Paper
BB_2025_Lead Zero Banner

রাতেই মৌসুমীর বাড়িতে সিআইডি, কামদুনি-রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি

মৌসুমীর বাড়িতে নির্যাতিতার দাদাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বহু ক্ষণ সিআইডির আধিকারিকরা বসে থাকলেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি।

Mousumi Koyal

মৌসুমী কয়ালের (ডান দিকে) বাড়িতে সিআইডি আধিকারিকরা। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩ ০২:০২
Share
Save

কামদুনি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায় ঘোষণার পর অসন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার, তাঁর দুই বন্ধু মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল। তাঁরা তখনই জানিয়ে দেন, হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। রায় মেনে নেয়নি রাজ্য সরকারও। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের হয়ে গোটা বিষয়টি দেখছে সিআইডি। ডিআইজি স্তরের এক অফিসারের অধীনে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। সেই দলের দুই আধিকারিক শুক্রবারই মৌসুমীর বাড়িতে এসে দেখা করেন তাঁর সঙ্গে।

সিআইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাদের দুই আধিকারিক এবং রাজারহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ তথা নির্যাতিতার বন্ধু মৌসুমীর বাড়িতে যান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। আধিকারিকরা বেরিয়ে যেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৌসুমী। চোখের জল মুছতে মুছতেই তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলতেই প্রশাসনের তরফ থেকে সিআইডির লোক পাঠিয়ে দেওয়া হল। দশ বছর আগে সিআইডি যদি আসত তা হলে অভিযুক্তরা এ ভাবে ছাড়া পেয়ে যেত না।”

মৌসুমীর বাড়িতে নির্যাতিতার দাদাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বহু ক্ষণ সিআইডির আধিকারিকরা বসে থাকলেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। যদিও মৌসুমীর বাড়িতে কী নিয়ে কথা হল সেই নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাননি সিআইডির আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরেই ঘোষণা হয় কামদুনি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় রায়। ২০১৩ সালের ওই নৃশংস ঘটনায় এর আগে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই সাজা কমিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দোষী সাব্যস্ত হওয়া সইফুল আলি এবং আনসার আলিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। এ ছাড়া আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে হাই কোর্ট। নিম্ন আদালত আমৃত্যু জেলের সাজা দিয়েছিল আরও তিন দোষী সাব্যস্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে। ১০ বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে, এই যুক্তিতে তাঁদেরও সাজা মকুব করে আদালত।

এই রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে ধর্ষিতার দুই বন্ধু এবং পরিবার জানিয়ে দেয়, তারা হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। মৌসুমী এবং টুম্পা জানিয়ে দেন, দিল্লির নির্ভয়ার আইনজীবীর সাহায্যে আবার লড়বেন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে হওয়া অবিচারের মামলা। পাশাপাশি, কামদুনি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে রাজ্য সরকারও। এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের হয়ে গোটা বিষয়টি দেখছে সিআইডি।

Kamduni Case Calcutta High Court Kamduni Rape kamduni Mousumi Koyal CID Supreme Court of India

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।