মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় ছ’মাস পরে, আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে উত্তরে আসতে পারেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে চার দিন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকতে পারেন। দু’দিন তিনি কার্শিয়াং শহরে ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। ৮ ডিসেম্বর কার্শিয়াঙেই একটি স্কুলের মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী অনুষ্ঠান হতে পারে। সেখান থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের বিভিন্ন ব্লকের উপভোক্তাদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা বিলি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তিস্তা বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কালিম্পং জেলার কয়েকটি এলাকার জন্য কোনও ঘোষণা করতে পারেন। সে দিন সম্ভব না হলে, পর দিন তিনি কলকাতা ফিরতে পারেন।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাঁর সরকারি এবং একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনও নবান্ন বা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা অধিকর্তা কোনও লিখিত নির্দেশ পাঠাননি। তবে বিভিন্ন স্তর থেকে বার্তা আসায় প্রস্তুতি চলছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে দু’দিন কার্শিয়াঙে থাকতে পারে। সেখানকার সরকারি অতিথি নিবাস, সার্কিট হাউস বা কোনও বেসরকারি জায়গায় থেকেও তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। ইতিমধ্যে কার্শিয়াঙের বিভিন্ন হোটেল, সরকারি অতিথি নিবাস বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। আবার একটি সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনে, উত্তরকন্যার অতিথি নিবাস বা সুকনা বন বাংলোতেও থাকতে পারেন। কার্শিয়াঙে সরকারি সভার বাইরে শিলিগুড়ি বা অন্য কোথাও তিনি যাবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। দার্জিলিং জেলা তো বটেই কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার বা জলপাইগুড়ি নিয়ে বৈঠক করতে পারেন। আবার তিস্তায় বিপর্যস্ত এলাকা তিনি দেখতেও যেতে পারেন। তবে কলকাতা থেকে নিরাপত্তা আধিকারিকেরা শিলিগুড়িতে না এসে পৌঁছনো পর্যন্ত পুরো সফরসূচি নিশ্চিত হবে না।
তবে লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য উত্তরবঙ্গ সফরকে প্রশাসনিক এবং দলীয় স্তরে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দল এ বার উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ির মতো লোকসভা আসনে জোর লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে। সব আসনই বিজেপির দখলে। সে ক্ষেত্রে আলাদা রাজ্য, ভাষার স্বীকৃতির দাবি নিয়ে রাজ্যের মতামত তিনি উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে তুলে ধরবেন বলে তাঁর দলের বড় অংশ মনে করছেন।
গত জুন মাসে শেষ বার মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন প্রতিবারের মতো পুজোর পরে বিজয়া করতে তিনি এ বার শিলিগুড়িতে আসেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy