—প্রতীকী ছবি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ও গণনার দিন রাজ্য জুড়ে যে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেই সব মামলায় একের পর এক বিডিও-র ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। ইতিমধ্যেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ার নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করার অভিযোগে বিডিও, এমনকি এসডিও (মহকুমাশাসক)-কেও সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছে আদালত নিয়োজিত কমিটি।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার জগাছায় মনোনয়নপত্র বাতিলের মামলায় সংশ্লিষ্ট বিডিও-কে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে দেখে কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্ন ওঠে, সরকারি আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও বিডিও কী করে আলাদা আইনজীবী নিয়োগ করেন? বিচারপতি অমৃতা সিংহের পর্যবেক্ষণ, “তাঁদের (বিডিওদের) ব্যাগে অনেক কিছু আছে। সেটা তাঁরা নিজেরাই ভাল জানেন। গত কালও একই ব্যাপার দেখেছি। বিডিওরা নিজেদের বাঁচাতে বাড়তি টাকা খরচ করে আইনজীবী দাঁড় করাচ্ছেন। কারণ, সরকারি প্যানেলের আইনজীবীদের উপরে ভরসা করতে পারছেন না তাঁরা।”
জগাছার ক্ষেত্রেও এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি সিংহ। তাঁর নির্দেশ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে হাওড়া পুলিশের কমিশনার একটি কমিটি তৈরি করবেন এবং এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবেন। কোন বিচারপতিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে,তা আদালত এখনও স্থির করেনি।
প্রসঙ্গত, জগাছার এক সিপিএম প্রার্থী ঠিক মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেও তা বাতিল করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তিনি পুলিশকে সে কথা জানালেও পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে তার প্রতিফলন ঘটেনি। তার পর তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগে উলুবেড়িয়ায় মনোনয়নপত্র বিকৃতির ঘটনায় প্রাক্তন বিচারপতিকে দিয়ে কমিটি গঠন করেছিল হাই কোর্ট। এবং বিডিও। এসডিও-সহ আরও এক সরকারি অফিসারকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল সেই কমিটি। ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে এ দিনই সেই মামলা এসেছে বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy