কন্যাসন্তান হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন পরেই বাবার সন্দেহ হয়, ওই মেয়ে তাঁর নয়! সেই সন্দেহের বশেই গলায় ব্লেড চালিয়ে পাঁচ মাসের সেই শিশুকে খুন করেছিলেন বাবা। ১২ বছর আগের সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল হুগলির চন্দননগর আদালত।
২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর হরিপালের সহদেব পঞ্চায়েতের গসা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছিল। মেয়েকে নদীর পারে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বাবা শেখ কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। নদীর পার থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর স্ত্রী রেজিনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতেই কামালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। চন্দননগর মহকুমা আদালতে প্রায় ১১ বছর খুনের মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার চন্দননগর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে এক বছরের জেল।
মামলার সরকারি আইনজীবী অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের ট্রায়াল হয়। সাক্ষীদের বয়ান ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সাজা ঘোষণা করেছে। অপরাধী বার বার দাবি করেছিল, সে মানসিক ভাবে সুস্থ নয়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয় মেডিক্যাল পরীক্ষায়।’’
দোষীর আইনজীবী আইনজীবী শশীরাজ সিংহ বলেন, ‘‘এই মামলার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। ডকুমেন্টারি ও মেটেরিয়াল সাক্ষ্য নেই।পুলিশ আধিকারিক যে মামলাটা করেছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যদিও আদালত যা রায় দিয়েছে, তা মেনে নিতে হবে। পরিবার হাই কোর্টে আবেদন করবে।’’