ফাইল ছবি
বিধানসভা নির্বাচনে হারের ধাক্কা সামলাতে এ বার লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বুথের দায়িত্বও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিল বিজেপি। এই দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে সোমবার জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে বৈঠক হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র থাকলেও রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের কাউকেই দেখা যায়নি। ছিলেন না রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এই নিয়ে বিতর্ক নেই। রুটিন মাফিক এই বৈঠক হয়েছে। নেতারা দলীয় কাজেই ছিলেন।
এ দিকে, রাজ্য নেতাদের বাদ দিয়ে বুথে শক্তি জোগাতে কেন্দ্রের উপর ভরসা করা হল কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে দলের একাংশে। যদিও বিজেপির দাবি, এই কর্মসূচি দেশ জুড়ে চলবে। ফলে সাংসদদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজে লাগানো হবে। যে সাংসদ যে রাজ্যের, সাধারণত তাঁকে সেই রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় না। দিলীপ ঘোষকে ইতিমধ্যে আটটি রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল যে ভাবে প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিছুতেই আর রাজ্য নেতৃত্বের উপর সাংগঠনিক দায়িত্ব ছেড়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না।
সূত্রের খবর, দেশ জুড়ে ১৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে এই কর্মসূচি হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি লোকসভা কেন্দ্র। এই লোকসভা কেন্দ্রের বুথগুলির দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, কিরণ রিজিজু, ধর্মেন্দ্র প্রধান ও ভূপেন্দ্র যাদব। ১৫ জুলাই থেকে প্রথম পর্বের কর্মসূচির কাজ শুরু হবে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এক ঝাঁক সর্বভারতীয় নেতা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঘাঁটি গেড়েছিলেন বাংলায়। লক্ষ্য ছিল, রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন। কিন্তু তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ আক্রমণের কাছে সেই অস্ত্র কার্যত বুমেরাং হয়ে যায়। এর পরেও সামান্য বুথের কর্মসূচিতে কেন রাজ্যের নেতাদের বাদ দিয়ে সেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ভরসা করতে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy