—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোট আসতেই নাগরিকত্ব আইনের প্রশ্নে কেন্দ্র তথা বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, এই মর্মে এ বার একসঙ্গে সরব হল কংগ্রেস, সিপিএম এবং নাগরিকত্ব নিয়ে আন্দোলনকারী বিভিন্ন গণসংগঠন।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে সোমবার সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদ (ইউসিআরসি), সংবিধান বাঁচাও মঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ ন্যায় মঞ্চ-সহ কয়েকটি উদ্বাস্তু ও সামাজিক গণসংগঠনের ডাকা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, “ভোট এলেই দিল্লি ও কলকাতায় নাগরিকত্বের বিষয় নিয়ে খুব হইচই হয়। শুধু ভোটের জন্য এক জন বলছেন নাগরিকত্ব দেবই। আর এক জন বলছেন, এখানে কোনও প্রয়োজন নেই। দু’জনেই রাজনীতি করছেন।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আমরা নাগরিকত্ব দিচ্ছি, ২০১৯-এ এটা বলে মানুষকে ঠকানোর একটা ব্যবস্থা করেছে বিজেপি সরকার।”
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর বা তারপরের কোনও তারিখকে ‘ভিত্তিবর্ষ’ হিসেবে ধরে, তার আগে থেকে যাঁরা ভারতে স্থায়ী ভাবে থাকেন, তাঁদের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তাঁরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে এনডিএ সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ‘২ (১) (বি)’ ধারা যোগ করে। এর সূত্রে ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’ তকমা দেওয়া হয় উদ্বাস্তুদের। সুজনের তোপ, “সেই সময়ে ওই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুপ্রবেশকারীতে বাংলা ভরে গিয়েছে বলে বাজার গরম করেছিলেন যিনি, তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী।” সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, রেখা গোস্বামী, সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস, মহম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy