বাঁ দিক থেকে, মমতাবালা এবং শান্তনু ঠাকুর। — ফাইল চিত্র।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্দরে সংঘাতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ সেই রক্ষাকবচের কথা ঘোষণা করে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে পুলিশ। শান্তনুদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করার ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস দিতে হবে পুলিশকে।
বিজেপি নেতা শান্তনুকে পাঠানো আগেকার নোটিস খারিজ করে হাই কোর্ট জানিয়েছে পুলিশকে নতুন করে আবার নোটিস পাঠাতে হবে। আগামী ১০মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, মতুয়া মহাসঙ্ঘের দায়িত্ব নিয়ে ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। ঠাকুরবাড়ির মন্দিরের তালা ভাঙা এবং মারধর করার অভিযোগ ওঠে শান্তনুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এ নিয়ে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তলব করা হয় শান্তনুর বাবা, প্রাক্তন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণকে।
ওই ঘটনায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ— মতুয়া মহাসঙ্ঘের দুই গোষ্ঠীর সংঘাতের ঘটনায় পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। পরিবারের অন্য সদস্য মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন শান্তনু। সে ক্ষেত্রে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের দায়িত্ব চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শান্তনু। পুলিশের বিরুদ্ধে মতুয়া সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি। শান্তনুর আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেল ঠাকুরনগরের মেলা ও মতুয়া সম্প্রদায়ের দায়িত্ব-সহ ঠাকুরবাড়ির দায়িত্ব নিতে চান। কারণ, মেলা থেকে যে আয় হয় ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করে তা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ঠাকুরবাড়ির আর এক সদস্য মমতাবালা ওই তহবিলের দায়িত্বে রয়েছেন। এমনকি মতুয়া মহাসঙ্ঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত শেয়ার করা হয়েছে। শান্তনুর দাবি, ঠাকুরবাড়ির নিয়ম অনুযায়ী ওই পরিবারের পুরুষ সদস্যেরাই ওই সব দায়িত্ব পান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy