হাওড়ার পরিবেশকর্মী তপন দত্ত খুনের মামলায় চলতি বছরে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, তদন্ত শেষ করে এই বছরেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
সিবিআই জানায়, ১১ বছর আগের মামলা। অনেক তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪৫ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শেষের চেষ্টা চলছে। অন্তত ছ’মাস সময় প্রয়োজন। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হাই কোর্টের নির্দেশ, শুধু তদন্ত শেষ নয়, চলতি বছরেই চার্জশিট জমা দিতে হবে।
২০১১ সালের ৬ মে গুলি করে খুন করা হয় তপনকে। ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মী-সহ ১৩ জনের নাম জড়ায়। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করেছিল। তদন্তের পর সিআইডি জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল। এর পর ২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিআইডি আদালতে আর একটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটে কোনও কারণ না দেখিয়েই ন’জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। তাঁরা সকলেই তৃণমূল নেতা। ২০১৪-র ডিসেম্বরে তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান চার্জশিটে নাম থাকা বাকি পাঁচ অভিযুক্তও। কিন্তু ২০১৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়।
হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তেরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে এবং হাই কোর্টকে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। এর পরেই তপন খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।