— ছবি সংগৃহীত
রাত পোহালেই রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। চার জেলার যে চার কেন্দ্রে শনিবার উপনির্বাচন, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, নদিয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। গত বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা ও শান্তিপুরে বিজেপি জিতলেও পরে বিধায়ক-পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ওই দুই কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরের প্রার্থীরা। খড়দহ এবং গোসাবায় তৃণমূল জিতলেও বিধায়কদের মৃত্যুতে সেখানে আবার নির্বাচন হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই চার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইভিএম ও অন্যান্য সরঞ্জাম-সহ বুথে বুথে পৌঁছে গিয়েছেন চার কেন্দ্রের ভোটকর্মীরা। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খতিয়ে দেখা হয়েছে শুক্রবার সারা দিন ধরে।
দিনহাটায় মোট বুথের সংখ্যা ৪১৭। ভোটকর্মীর সংখ্যা ১,৬০০। ওই কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও মোতায়েন থাকবে ৯০৩ জন রাজ্য পুলিশ। ৫০ শতাংশ বুথে থাকবে সিসিটিভি। দিনহাটা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮০ জন। ডিসিআরসি পরিদর্শন করে কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। যা যা ব্যবস্থার প্রয়োজন, সব করা হয়েছে। যদি কোনও ভোটার ভোট দিতে যেতে না পারেন, তাকে আমরা বুথে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’
গোসাবায় ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে, তা নিশ্চিত করতে ভোট ঘোষণার পর থেকে গোসাবায় অন্তত ১৫০ জন অপরাধীকে নজরে রাখা হয়েছে। গোসাবায় মোট বুথের সংখ্যা ৩৩০। তার মধ্যে ৭৯ শতাংশ বুথে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। সূত্রের খবর, ১৮৯টি বুথে ওয়েব কাস্টিং, ৪৩টি বুথে থাকবে মাইক্রো অবজার্ভার এবং সিসিটিভি। আরও ৩০টি বুথে ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থা থাকবে। তবে কিছু এলাকায় শ্যাডো জোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল থাকায় সেখানে ওয়েব কাস্টিং করা যাচ্ছে না। সেখানে সিসিটিভি এবং মাইক্রো অবজার্ভার বসানো হয়েছে। তবে স্পর্শকাতর ও উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬২। উত্তেজনাপ্রবণ বুথের মধ্যে চুনখালি ও রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যথাক্রমে ১২ এবং ৯টি বুথ রয়েছে। পাশাপাশি অতি উত্তেজনাপ্রবণ বুথের মধ্যে রয়েছে লাহিড়ীপুর, সাতজেলিয়া এবং মসজিদমাটী। উপনির্বাচনে থাকছে না ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি। থাকছে না কোনও মহিলা বুথ। এই বিধানসভায় মোতায়েন থাকছে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৯৬৭ জন রাজ্য পুলিশ। জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলা শাসক পি উলগানাথন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, ‘‘সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু ভাবেই হবে।’’
শান্তিপুরে মোট ভোটার ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৯৩। মোট বুথের সংখ্যা ৩৫৫। এর মধ্যে ২০ শতাংশ রয়েছে স্পর্শকাতর বুথ। মোতায়েন থাকছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ দিন খড়দহের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ব্যারাকপুরে পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক। কমিশনার জানান, ‘‘খড়দহে ১১৬টি পোলিং স্টেশন, ২৩৫টি বুথ রয়েছে। মোতায়েন থাকবে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সেনা। প্রতি বুথে কনস্টেবল একজন করে। প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy