Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Death

পাঁচ দিন পরে উদ্ধার নিখোঁজ যুবকের দেহ

সঞ্জয়ের বাড়ি রামনগর-১ ব্লকের কাবরা গ্রামে। তিনি নিউ দিঘায় একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন। এ দিন তাঁর মৃতদেহের পাশ থেকে তাঁর মোটরবাইকটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পড়ে রয়েছে দেহ।

পড়ে রয়েছে দেহ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দিঘা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৫৭
Share: Save:

গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি সঞ্জয় জানা (৩০) নামের ওই যুবক। পরিবারের লোকজন বারবার তাঁর মোবাইলে ফোন করলেও, তা বেজে গিয়েছিল। রবিবার সকালে দিঘা মোহনা মাছের বাজার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ন্যায়কালী মন্দিরের কাছে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয়ের বাড়ি রামনগর-১ ব্লকের কাবরা গ্রামে। তিনি নিউ দিঘায় একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন। এ দিন তাঁর মৃতদেহের পাশ থেকে তাঁর মোটরবাইকটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত ১৭ অক্টোবর মোটরবাইকে চেপে দোকানে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে বার হওয়ার আগে রাতে বাড়ি ফিরে খাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন ওই যুবক। তবে তিনি আর ফেরেননি। রাতে মোবাইল ফোন বেজে গেলেও, তা ধরেননি সঞ্জয়। তাঁর মোটরবাইকটিরও সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন।

প্রথমে ওই যুবকের সন্ধানে দিঘা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। যদিও পরে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তবে তদন্তে নেমেও, ওই যুবকের কোনও সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ। এরপর রবিবার সকালে দিঘা মোহনা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ন্যায়কালী মন্দিরের কাছে মেরিন ড্রাইভের ধারে ওই যুবককে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। কোথা থেকে এবং কী ভাবে ওই হোটেল কর্মীর মৃতদেহ এখানে এল, তা অবশ্য এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে।

গত বছর পুজোর আগে চালু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের সৈকত সরণি। কিন্তু এ বছরে বিগত দু’মাস ধরে এই সৈকত সরণিতেই একের পর এক অঘটন ঘটে চলেছে। অতীতে এখান থেকেই নদিয়ার এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তা সত্ত্বেও কেন মেরিন ড্রাইভ জুড়ে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে না, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট (ড্রাগ অ্যান্ড থেরাপিউটিক) রথীন্দ্র বিশ্বাস বলছেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে ওই হোটেল কর্মীর কোনও শত্রু রয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে কী কারণে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই স্পষ্ট হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Death digha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy