মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
জাতীয় রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। রাহুল গান্ধীর সাংসদ-পদ খারিজ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোয় কলকাতায় এসে সম্বিত সমালোচনা করেন মমতার। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো অবাক হয়ে যাই। মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। সকালে ফুল নিয়ে গান্ধী পরিবারের কাছে যান, সন্ধ্যায় আবার বলেন রাহুলের দ্বারা হবে না। আগে মমতাজি’কে জিজ্ঞাসা করে আসুন, রাহুলের দ্বারা কিছু হবে? না হবে না?’’
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা জবাব, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে সম্বিত পাত্রকে ভাবতে হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস সব সময় অ-বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল শক্তির পক্ষে। কংগ্রেস তার ভূমিকা পালন করতে না পারলে সমালোচনা অবশ্যই হবে। কিন্তু কংগ্রেসও তো এ শক্তির অংশ।”
বিধাননগরে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে সোমবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল ও কংগ্রেসকে আক্রমণ করে সম্বিত বলেন, ‘‘দেশের গণতন্ত্রের প্রতি রাহুল এবং তাঁর দলের এত অবিশ্বাস কেন? রাহুল মানেই ভারত নয়, ভারত মানেই রাহুল নয়, সেটা মনে রাখা দরকার। গান্ধী পরিবারের জন্য দেশের আইন বদলাবে না!”
জবাবে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “রাহুলের ভারতবাসীর প্রতি গভীর আস্থা আছে। যে কোনও বিজেপি নেতা-নেত্রীর চেয়ে ভারত সম্পর্কে রাহুলের ধারণা অনেক স্পষ্ট। রাহুল মনে করেন, মোদী সরকারের আমলে ভারতবাসীর জীবনে গভীর সঙ্কট নেমে এসেছে। সেই সঙ্কট মোচন প্রয়োজন।” তাঁর সংযোজন, “মোদী যদি দুর্নীতির প্রশ্নে আপসহীন হন, তা হলে এই উত্তর তাঁকে দিতে হবে যে, আদানি গোষ্ঠীতে কে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করল? কোথা থেকে সেই টাকা এল? কংগ্রেস জমানায় কেউ দুর্নীতি করে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা হয়েছে। বিজেপি আমলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কী ব্যবস্থা হয়েছে? এই উত্তরগুলো এড়িয়ে শুধু কংগ্রেসকে গালিগালাজ করে লাভ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy