রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি।
থাকছেন সরকারি বাসভবনে। তা সত্ত্বেও পুলিশকর্তাদের একাংশ ‘এইচআরএ’ বা বাড়িভাড়া ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন কী ভাবে, সেই প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থের কাছে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিজেপি নেতা।
যদিও সরকারি ভাবে নবান্নের তরফে সেই সব প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি। বক্তব্য জানার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল বার বার। কিন্তু পন্থ, মালবীয় বা গোয়েল— কেউ ফোন ধরেননি। তাঁদের মোবাইলে পাঠানো বার্তারও কোনও জবাব দেননি।
পন্থকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি বাসভবনে থাকলেও তার ভাড়া সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের দিতে হয় না। সরকারি নির্দেশিকা ছাড়াই কিছু সংখ্যক ‘প্রিয়’ অফিসারকে এই ধরনের ‘অবৈধ’ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি অর্থসচিবকে এই খাতে টাকা উদ্ধারের অনুরোধও করেছেন শুভেন্দু। অন্যথায় এই দায় যে অর্থ দফতরের উপরেও বর্তাবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং এগুলো বন্ধ করার জন্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা আছে কি না, তা-ও সাত দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপের বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাঁর চিঠিতে।
এই বিষয়ে রাত পর্যন্ত অর্থসচিব, ডিজি বা কলকাতার পুলিশ কমিশনার কেউই ফোন ধরেননি। জবাব দেননি মোবাইল বার্তারও। তবে শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘‘হয় জেনেশুনে ইচ্ছাকৃত ভাবে গোয়েবলসীয় কায়দায় কুৎসা করে যাচ্ছেন, নয়তো হতাশা থেকে উনি (শুভেন্দু) অবসাদে ভুগছেন! তা না-হলে এই ধরনের একটা অর্থহীন বিষয় নিয়ে দিনের পর দিন চেঁচিয়ে যাবেন কেন!’’ এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের ক্ষেত্রেও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy