Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
R G Kar Hospital Incident

পথেই থাকার ঘোষণা পদ্মের, নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন মিঠুন

শ্যামবাজার পাঁচ মাথা ও ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল মিলিয়ে আলাদতের নির্দেশে তিন দফায় প্রায় ২৪ দিন ধরে বিজেপির ধর্না কর্মসূচি চলেছে। কখনও ধর্না কর্মসূচিতে শীর্ষ নেতাদের এক সঙ্গে, এক সুরে বাঁধা থাকতে দেখা গিয়েছে।

মিঠুন চক্রবর্তী।

মিঠুন চক্রবর্তী। —ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১৬
Share: Save:

আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তার কর্মসূচিকে পুজোর মুখ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। শ্যামবাজারের পরে ধর্মতলায় টানা ধর্না কর্মসূচির শেষ দিনে সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ঘোষণা, “ধর্না হয়তো শেষ হল। কিন্তু যত ক্ষণ না বিচার পাচ্ছি, তত ক্ষণ আমারা রাস্তাতেই থাকব।” ধর্না-মঞ্চে উপস্থিত হয়ে এ দিনই অভিনেতা তথা রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী আবার এক ধাপ এগিয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন। প্রয়োজনে বুক পেতে গুলি খাওয়ার জন্য প্রত্যেককে প্রস্তুত হতে বললেন!

শ্যামবাজার পাঁচ মাথা ও ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল মিলিয়ে আলাদতের নির্দেশে তিন দফায় প্রায় ২৪ দিন ধরে বিজেপির ধর্না কর্মসূচি চলেছে। কখনও ধর্না কর্মসূচিতে শীর্ষ নেতাদের এক সঙ্গে, এক সুরে বাঁধা থাকতে দেখা গিয়েছে। আবার কখনও ধর্না-মঞ্চের ছবিটা ছিল ফ্যাকাশে। শেষ দিন অবশ্য সুকান্ত-সহ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিংহ, তথাগত রায়, রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, অভিনেতা মিঠুন এবং দলের প্রায় প্রত্যেক পদাধিকারী, বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি, মোর্চা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

ধর্না শেষে সুকান্তের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত শহরাঞ্চলে প্রতিটি ওয়ার্ড এবং প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পথসভা হবে। সেই সঙ্গে চলবে সই সংগ্রহ কর্মসূচি। এক কোটি সই সংগ্রহ করে তা বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে সাংসদ ও বিধায়কেরা তুলে দেবেন রাজ্যপালের হাতে। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর রাজ্যের প্রতিটি রেল স্টেশনে সভা করার ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া, ২৫ তারিখ ‘কালীঘাট চলো’র ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন হাজরা মোড়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিরোধী দলনেতা এ দিন ধৃত পুলিশ আধিকারিকের বাড়িতে কলকাতা পুলিশের বিশাল দল যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “ধৃত ওসি’র বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী লোক পাঠিয়েছিলেন কেন? ২০ জনের বিরাট দল পাঠানো হয়েছে পরিবারের মাধ্যমে বার্তা দেওয়ার জন্য, যাতে বিনীত গোয়েলের নাম না বলেন!” শুভেন্দুর সংযোজন, “আমরা নগরপালের অপসারণ চাই না। আমরা চাই গ্রেফতার! আমরা চাই বিনীতের ফোনগুলো সিবিআই নিক। কত বার মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি ফোন করেছেন, সব বেরিয়ে আসবে।”

মিঠুনের গলায় শোনা গিয়েছে বড় আন্দোলনের প্রস্তুতির আহ্বান। তিনি বলেন, ‘‘আবার নবান্ন অভিযান হবে। আমি সেই অভিযানে থাকব। আর এই অভিযান ব্রিজের কাছে থেমে যাবে না। নবান্নের ১৪ তলায় গিয়েই থামবে! ওরা এর আগে জল কামান চালিয়েছে, কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে। এ বার হয়তো গুলি চালাবে। আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন! আমরা থাকব সামনের সারিতে। দেখি কত গুলি চালাতে পারে।” পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “নিশ্চয়ই সামনে মিঠুনদা’র কোনও সিনেমা আসছে! তাই বিপ্লবী কথা বলে প্রচারে থাকতে চাইছেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

R G Kar Hospital BJP Mithun Chakraborty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy