আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরও দেড় কোটি কর্মসংস্থানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
ক্রীড়াক্ষেত্রই হোক বা সাংস্কৃতিক আঙিনা, ভবিষ্যতে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের গন্তব্যস্থল হবে বাংলা। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের এক দফা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেশে দারিদ্র বাড়লেও বাংলায় তা ৪০ শতাংশ কমেছে।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যে খেলাধুলো ও ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ক্রীড়াবিদদের সম্মাননা জানানো হয়। পাশাপাশি, রাজ্য জুড়ে ৮ হাজারেরও বেশি ক্লাবকে ৮২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। খেলাশ্রী প্রকল্পের অধীনে ওই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে রাজ্য জুড়ে ৭২ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘‘শুধুমাত্র এই (প্রস্তাবিত) প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যে ৩ লক্ষ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান হবে।’’ সেই সঙ্গে আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরও দেড় কোটি কর্মসংস্থানেরও প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বিনিয়োগ হোক বা খেলাধুলো, সংস্কৃতি হোক বা কর্মসংস্থান, বাংলাই সারা বিশ্বের গন্তব্যস্থল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় দরজা বাংলা।’’
সোমবারের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্ত এবং যুবকল্যাণ তথা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ্যের তরফে ১৬ জন ক্রীড়াবিদের হাতে ‘খেলসম্মান’, ২৬ জনকে ‘বাংলার গৌরব’, ৭ জনকে ‘ক্রীড়াগুরু’ এবং ১ জনকে জীবনকৃতি সম্মান প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ‘খেলসম্মান’ প্রদান করা হয় মেহুলি ঘোষ, আতার আলি, হিমাশ্রী রায়-সহ একাধিক ক্রীড়াবিদকে। চলতি বছরে বাংলার গৌরব সম্মানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন দুলাল বিশ্বাস, মান্তু ঘোষেরা। ‘ক্রীড়াগুরু’ সম্মাননা দেওয়া হয় স্মিতা চট্টোপাধ্যায়, তরুণ সাহা-সহ বহু ক্রীড়াবিদকে। অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের তরফে বীরবাহাদুর ছেত্রীকে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হয়।
ক্রীড়াবিদদের সম্মানজ্ঞাপন ছাড়াও ১০০ জন খেলোয়াড়ের সমস্ত খরচের ভার রাজ্য সরকার নেবে বলেও ওই মঞ্চে প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া, প্রাক্তন ক্রীড়াবিদদের ১ হাজার টাকা করে মাসিক পেনশনের কথাও ফের জানান তিনি।
সোমবারের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগও করতে শোনা গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, ‘‘কোভিড এবং আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাকে কিছুই দেয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy