স্ত্রীকে খুন এবং সৎমেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে আবার পাকড়াও করল পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে খুন এবং সৎকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। রবিন মণ্ডল নামে ওই আসামিকে মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বীরভূমের বোলপুরের হাসপাতালে। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালায় সে। শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়ার কাছে বাগবাটি মোড় থেকে ওই আসামিকে আবার পাকড়াও করল পুলিশ। এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীকে খুন এবং নাবালিকা সৎমেয়েকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত রবিনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের যজ্ঞেশ্বরডিহিতে। স্ত্রীর এবং সৎমেয়েকে নিয়ে বীরভূমের নানুরে থাকত সে। মঙ্গলবার সে হাসপাতাল থেকে পালানোর পরেই বীরভূম এবং বর্ধমানের থানাগুলোকে খবর পাঠিয়ে দেয় নানুর থানার পুলিশ। আসামির ছবি পাঠানো হয় থানায় থানায়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘‘বর্তমানে বীরভূমের নানুরে থাকত অভিযুক্ত। নানুর থানারই একটি বড় মামলায় অভিযুক্তকে মঙ্গলবার দুপুরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আনা হয়েছিল। সে সময়েই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ওই আসামি। সঙ্গে সঙ্গেই বীরভূম ও লাগোয়া জেলা বর্ধমানের থানাগুলিকে অ্যালার্ট করা হয়। আসামির ছবি পাঠিয়ে খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবারই পাকড়াও হয়েছেন অভিযুক্ত।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের ভেদিয়ার কাছে বাগবাটি মোড়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ার যানবাহন সামলাচ্ছিলেন। তাঁকে নিয়ে আসামিকে ধরতে পুলিশ সাতলা গ্রামে অভিযান শুরু করে। মোবাইলে থাকা ছবি মিলিয়ে সন্দেহ হওয়ায় এক জনের পিছু নেওয়া হয়েছিল। পুলিশকে দেখেই ওই ব্যক্তি দৌড়তে শুরু করলে নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। ওই সময় সিভিক ভলান্টিয়ার সুধাংশু জোয়ারদার দৌড়ে গিয়ে আসামিকে ধরে ফেলেন। পরে ছোড়া ফাঁড়ি এবং নানুর থানার যৌথ অভিযানে আবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে রবিন। সিভিক ভলান্টিয়ারের ওই তৎপরতার জন্য তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy