ফাইল চিত্র।
আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩২টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নিয়ে শুক্রবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। বৈঠকের বিষয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, কিছু প্রার্থী প্রচারে নেমে নাগরিকদের বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। সে বিষয়গুলির মোকাবিলা কী ভাবে করা যায়, ওই এলাকাগুলিতে দলের রণকৌশলই বা কী হবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশের।
বেলা ১১টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মলয় বলেন, “এটা একেবারেই দলীয় বৈঠক। প্রকাশ্যে কিছু বলার মতো নয়। তবে রণকৌশল ঠিক করার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে।” রণকৌশল ভেঙে বলেননি মলয়। তবে গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে ওই ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫, ২০, ২১, ২৯, ৩০, ৩১, ২৭, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৪, ৪৮, ৫৪, ৭৬ নম্বর, এই ১৪টি ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। এই ওয়ার্ডগুলিতে সাংগঠনিক ভাবে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। পাশাপাশি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক প্রার্থী তথা বিদায়ী কাউন্সিলর সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে দাবি করেন, এই ওয়ার্ডগুলিতে প্রচারে নেমে প্রার্থীরা বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন, যা প্রার্থীদের একার পক্ষে উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মূলত নাগরিক পরিষেবা না পাওয়া, বস্তিবাসীদের সমস্যা ও আশ্রয়হীনদের বাড়ি না মেলার মতো অভিযোগ করছেন নাগরিকদের একাংশ, দাবি ওই নেতার। এ প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলতে চাননি মলয়। তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া, “প্রচারে বেরিয়ে প্রার্থীরা কী-কী সমস্যার মুখে পড়ছেন, তা প্রার্থীদের কাছ থেকে শুনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলির দ্রুত সমাধান করা হবে।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, শনিবার দলের ১০৬ জন প্রার্থীকে নিয়ে ফের রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবে জেলা তৃণমূল। সেখানে থাকার কথা মলয়েরও। পাশাপাশি, আসানসোল উত্তরের মতো, কুলটি, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণের ওয়ার্ডগুলি নিয়েও আলাদা করে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, “প্রার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করতে, জয় নিশ্চিত করতেই এমন আয়োজন।” ঘটনাচক্রে, আসানসোল দক্ষিণ ও কুলটিতে দলের বিধায়ক না থাকায় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করবেন যথাক্রমে ভি শিবদাসন ও প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা দু’জনেই জানিয়েছেন, শনিবার মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকটির পরে, প্রার্থীদের সমস্যা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে-র মন্তব্য, “তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে ওঁদের প্রার্থীরা প্রচারে নেমেই বুঝে গিয়েছেন, মানুষ ওঁদের সঙ্গে নেই।” তবে মলয়ের প্রতিক্রিয়া, “বিজেপির অবস্থা নির্দলদের থেকেও খারাপ হবে! তাই, ওঁরা কী বললেন, তা আমরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy