(বাঁ দিকে) মোমোর প্যাকেট নিয়ে পালানো যুবক। মোমো (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
টাকা, গয়নাগাটি নয়, মোমোর প্যাকেট চুরি করে পালালেন এক যুবক। বরাত দেওয়া খাবারের খোঁজ করতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে গেলেন খদ্দের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিস্মিত দোকানমালিকও। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরে।
বৃহস্পতিবার রাতে মোমো চুরির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তাতে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান শহরের একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানের সামনে একটি বাইক রাখা। ঠিক তার পাশে এসে দাঁড়ান এক স্কুটি আরোহী। মাথায় হেলমেট। পরনে অফ হোয়াইট শার্ট এবং জলপাই রঙের ট্রাউজ়ার্স। তিনি এ দিক-ও দিক তাকিয়েই সন্তর্পণে মোটরবাইকের হ্যান্ডলে ঝোলানো প্লাস্টিকের প্যাকেট তুলে নেন। এ দিক-ও দিক তাকিয়ে তড়িঘড়ি স্কুটি স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে যান। অন্য দিকে, পরে বাইকমালিক এসে দেখেন হ্যান্ডলে ঝোলানো মোমোর প্যাকেট উধাও! তিনি কিছু ক্ষণ ধরে খোঁজেন। কিন্তু ৭০ টাকা দিয়ে কেনা মোমো আর পাননি।
মোমো খুইয়ে ফেলা ব্যক্তির নাম কুশল ঘোষ ওরফে গুলু। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের উত্তরপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি কালীবাজারে জিটি রোডের ধারে একটি দোকান থেকে এক প্লেট মোমো পার্সেল করিয়েছিলেন। গুলু বলেন, ‘‘বাড়ি নিয়ে যাব বলে ৭০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট মোমো কিনলাম। তার পর মনে পড়ে বাড়ি থেকে মিষ্টি কেনার কথা বলেছিল। তাই সদরঘাট রোডের বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ের কাছে একটি মিষ্টির দোকানে গিয়েছিলাম। দোকানের সামনে বাইকটা রেখে মিষ্টি কিনতে ঢুকি। তারই ফাঁকে আমার মোমোর প্যাকেট চুরি হয়ে গেল!’’ কুশল হইচই করায় আশপাশের লোকজন কৌতূহলী হয়ে পড়েন। মোমো চুরির কথা শুনে অবাক হন কেউ কেউ। কেউ স্রেফ হেসে চলে গিয়েছেন। তবে কুশল নাছোড়। তাঁর অনুরোধে ওই মিষ্টির দোকানদার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তখনই চোখে পড়েন ওই ‘মোমো চোর’। অন্য দিকে, দোকানমালিকের অভিযোগ, মোমো চুরি করা ব্যক্তি তাঁর দোকান থেকে মিষ্টিও নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটারও দাম না দিয়ে চলে গিয়েছেন। যদিও দু’জনের কেউই এ নিয়ে থানাপুলিশ করেননি।
ওই ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকেরা নানা পরমর্শ দিচ্ছেন। কেউ লিখেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের আগে এ বার মোমো চুরি!’ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, পুলিশের কাছে যাওয়ার। কেউ বলছেন, বাইকের নম্বরপ্লেট দেখে মালিককে পাকড়াও করা উচিত। ওই ভিডিয়োটি ‘শেয়ার’ও হচ্ছে। যদিও মোমো হারানো কুশল কিংবা মিষ্টির দাম না পাওয়া দোকানদার কেউই এখনও পুলিশের দ্বারস্থ হননি বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy