আসানসোলের কুলটি থানার পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে কেউ আটকে নেই। নিখোঁজের অভিযোগ নিয়ে এমনই জানাল পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রামে কেউ নিখোঁজ কি না, তার খোঁজখবর করছে প্রশাসন।
রবিবার কুলটি থানার বোডরা গ্রামে বিসিসিএলের ১২ নম্বর হাজলা পিটের বিস্তীর্ণ অংশে ধস নামে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করেছিলেন, ২০ থেকে ২৫ জন চাপা পড়তে পারেন ওই অবৈধ খনিতে। তাঁরা, শনিবার রাতের অন্ধকারে ওই খাদানে নেমেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ধসের খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ এবং সিআইএসফ। কয়েক ঘণ্টা ধরে খোঁজখবর চলে। পরে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘বিসিসিসিএলের পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে একটি ধসের খবর শুনে আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শনে এসেছিলাম। এই ধসে কেউ চাপা পড়েছেন কি না, কেউ আটকে রয়েছেন কি না, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ তবে হতাহতের কোনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশকর্তা জানান, বিসিসিএল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, যদি এ ব্যাপারে কোনও খবর তারা পায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্রাম থেকে যদি নিখোঁজের কোনও খবর আসে, তখন আবার খোঁজখবর হবে।’’
অন্য দিকে, বিসিসিএলের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, তাঁদের পরিত্যক্ত কয়লা খাদানে বিভিন্ন ধরনের বোর্ড লাগানো রয়েছে। তাতে লেখা আছে কোন এলাকা ধসপ্রবণ। তবে রবিবারের ধসে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ ইন্দ্রাণী মিশ্র বলেন, ‘‘যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি আসানসোল পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানকার কাউন্সিলার বিজেপির লালন মেহরা। এলাকাটি কুলটি বিধানসভার অন্তর্গত। সেখানকার বিধায়ক বিজেপির অজয় পোদ্দার। কোলিয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। সিআইএসএফও কেন্দ্র সরকারের। চুরি হলে দায় ওদের। কোনও দুর্ঘটনা হলে তার দায় ওঁরা এড়াতে পারেন না।’’
অন্য দিকে, বিজেপি কাউন্সিলর দাবি করেছেন, প্রশাসনের একাংশের মদতে অবৈধ ভাবে খনিতে কাজকর্ম হয়। গরিব মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মুনাফা করছেন কয়েক জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy