ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ভিড় বর্ধমানের মণ্ডপে। নিজস্ব চিত্র
চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকেই ঢল নামছিল বর্ধমানের নানা পুজো মণ্ডপে। ষষ্ঠীতে শহরের ছোট-বড় সব মণ্ডপেই ভিড় উপচে পড়ল। ভিড় জমল কালনা ও কাটোয়ার নানা মণ্ডপেও।
দু'বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুজোয় নানা বিধিনিষেধ ছিল। এ বার সে পরিস্থিতি নেই। বর্ধমান শহরে জিটি রোডের দু’ধারে গোটা দশেক পুজো হয়। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সেগুলির জন্য জিটি রোড কার্যত জনপ্লাবন। শহরের আলমগঞ্জ বারোয়ারি থেকে বাজেপ্রতাপপুর ট্র্যাফিক কলোনি, নানা পুজোতেই ভাল ভিড়। বাজেপ্রতাপপুরের পুজোটির সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, ‘‘মানুষের উৎসাহ ও আবেগের কাছে সব কিছুই হার মানছে।’’ সর্বমিলন সঙ্ঘের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল, আলমগঞ্জের মণীশ সিংহেরা জানান, পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ আসছেন।
ভিড়ে কোভিড-বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ শহরবাসীর একাংশের। ‘বর্ধমান দুর্গাপূজা সমন্বয় সমিতি’র কর্তা সুকান্ত দাস বলেন, ‘‘বিধি মেনে পুজো দেখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছ। সব রকম সাহায্যে ক্যাম্প অফিস খোলা হয়েছে।’’
কালনায় এসটিকেকে রোডের পাশে মণ্ডপে এ দিন বিকেল থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। মণ্ডপের আশেপাশে বসেছে মেলা। দোকানদের মুখেও হাসি ফুটেছে। ফুচকা বিক্রেতা অবনী মালাকারের কথায়, ‘‘করোনার কারণে গত দু’বছর পুজোয় তেমন বিক্রি হয়নি। এ বার ষষ্ঠী থেকেই বিক্রি ভাল হচ্ছে।’’ কালনার পুরনো বাসস্ট্যান্ড, ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুরের নানা মণ্ডপেও ভিড় জমে। পারুলিয়া রবীন্দ্র সঙ্ঘের ‘বুর্জ খলিফা’র আদলে মণ্ডপ দেখতে আসেন বহু মানুষ। দক্ষিণ শ্রীরামপুর আমরা ক’জন, চাঁদপুর শ্রীরামপুর বারোয়ারি, দক্ষিণ শ্রীরামপুর সর্বজনীনের মতো বেশ কয়েকটি মণ্ডপেও ঢল নামে। পারুলিয়ায় কলেজ পড়ুয়া অনিমা দাস বলেন, ‘‘সপ্তমী থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই আজ বেরিয়ে পড়েছি।’’
ষষ্ঠীর বিকেল থেকে ভিড় হল কাটোয়া, দাঁইহাট থেকে কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটের নানা মণ্ডপে। রাত যত বেড়েছে, ভিড়ও তত জমেছে। কাটোয়ার কাছারি রোড, স্টেশনবাজার, সার্কাস ময়দান-সহ নানা এলাকার রাস্তায় খুব ভিড় দেখা যায়। একই ছবি দাঁইহাট শহরেও। কেতুগ্রামের কান্দরা, পাঁচুন্দি, নিরোল এবং মঙ্গলকোটের নতুনহাট, মাজিগ্রাম, কৈচর-সহ বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। ভিড় সামাল দিতে কাটোয়ায় নানা রাস্তার ধারে পুলিশ সহায়তা শিবির করেছে। বিকেলে কাটোয়ার আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy